This Article is From Aug 05, 2019

পুজো কমিটির দখল ঘিরে তৃণমূল বিজেপি টক্কর, জমকালো খুঁটিপুজো

লোকসভা ভোটে ভালো ফলের পর থেকে বাংলায় জনসংযোগ বৃদ্ধির নানা উপায় খুঁজছে বিজেপি।

Advertisement
Kolkata Edited by (with inputs from PTI)

প্রতিপক্ষ বলে বলে গোল দিয়েছে। কমিটি হাতছাড়া। মেনে নিচ্ছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)।

কলকাতা:

দুর্গাপুজো (Durga Puja) কমিটি দখলকে কেন্দ্র করে জোর টক্কর তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP)। যে সে জায়গায় নয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়ির কাছের পুজো ঘিরেই চলছে লড়ালড়ি। দখল যুদ্ধে প্রাথমিক পর্বে পদ্ম শিবির তাক লাগালেও খুঁটি পুজোতে বাজিমাত জোড়াফুলের। প্রথমদিকে দক্ষিণ কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সংঘশ্রী (Sanghasree) দুর্গা পুজো কমিঠির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। বিজেপি ঘনিষ্ঠরা স্থান পান কমিটিতে। তৃণমূল আসরে নামতেই সেই কমিটি ভেঙে দেওযা হয়। পুজো কমিটি পুরর্গঠন করা হয়। তাতে পুজোর আহ্বায়ক করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর নেতৃত্বেই রবিবার জমজমাটি খুঁটি পুজো হল সংঙ্ঘশ্রী (Sanghasree)দুর্গাপুজো কমিটির। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়রা। উধাও গেরুয়া শিবিরের লোকজন। পরিস্কার দুর্গাপুজো দখলের যুদ্ধে অ্যাডভানটেজ রাজ্যের শাসক দলের। 

প্রতিপক্ষ বলে বলে গোল দিয়েছে। কমিটি হাতছাড়া। মেনে নিচ্ছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। সাফাই হিসাবে তাঁর মুখে অবশ্য তৃণমূলের গা জোয়ারির কথা। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই সংঙ্ঘশ্রীর (Sanghasree) পুজোয় আমাদের নাম দেখেই উদ্যোগী হয়ে কমিটি দখল করতে ওরা উঠে পরে লেগেছে। বিষয়টি বেশ মজাদায়ক। আমরা উপভোগ করছি।' একসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের এই নেতার দাবি তাদের হাতে ৫৪ পুজো কমিটি এখনও যোগাযোগ রেখে চলছে।

লোকসভা ভোটে ভালো ফলের পর থেকে বাংলায় জনসংযোগ বৃদ্ধির নানা উপায় খুঁজছে বিজেপি। দুর্গাপুজো (Durga Puja) যার অন্যতম। মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় এবার লোকসভায় এগিয়ে গেরুয়া বাহিনী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বিজেপি নেতারা তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরের পুজো দখলের যুদ্ধে নেমেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে গত বছর রাজ্যজুড়ে পুজো প্যান্ডেলের বাইরে ৩ হাজার মতো দলীয় স্টল দিয়েছিল বিজেপি। তাদের মতাদর্শের বই বির্কি করা হয় সেখান থেকে। এবার অবশ্য সেই সংখ্যাটা বাড়বে। 

Advertisement

সব দেখে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও একডালিয়া এভারগ্রিনের কর্মকর্তা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Surato Mukherjee) দাবি, ‘ওরা বাঙালির আবেগ বোঝে না। পুজো করতে গেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে বছরভর থাকতে হয়। ওদের দাবি লম্বা। কিন্তু, বাস্তবের সঙ্গে কোনও মিল নেই। রাতারাতি পুজো কমিটির মাথা হব বললেই হওযা যায় না।'



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement