কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দাগা হিসাবেই ইয়েদুরাপ্পার মন্তব্যকে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর আস্থাভোট শুরু হওয়ার ঠিক আগেই আচমকা মত বদল করে স্পিকার পদ নিয়ে যুদ্ধ থামিয়ে বিজেপি তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিল। বিজেপি তাদের প্রার্থী সুরেশ কুমারকে তুলে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল কংগ্রেসের কে আর রমেশ কুমার।
তবে, কংগ্রেস স্পিকারের পদটি জিতে গেলেও, কুমারস্বামীর করা একটি মন্তব্যে জোটের দুই শরিকের মধ্যে অস্বস্তি রয়েই গেল।
স্পিকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সময় কুমারস্বামী বলেন, “সিদ্দারামাইয়া যখন আপনার ( রমেশ কুমার ) নাম প্রস্তাব করেন এবং নমিনেশন জমা দেন, আমার তখন ওখানে উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।
এর পরে, আস্থাভোটের ঠিক আগে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন তিনি মানসিকভাবে অত্যন্ত ‘আহত’ হয়েছেন, জনগণের ভোটে না জেতায়। “এই জোটের কারণেই আমি মুখ্যমন্ত্রী হলাম আসলে। নিজের জায়গাটা নিয়ে একদমই খুশি নই”। বলেন তিনি। 1994 থেকে 1999 পর্যন্ত কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছে রমেশ কুমার।
অন্যদিকে, পাঁচবারের বিজেপি বিধায়ক সুরেশ কুমার দিন কয়েক আগই বলেছিলেন, সংখ্যার বিচারে এবং তার সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক ব্যাপারকে যোগ করলে তাঁর দল নিশ্চিত য তিনি জিতবেন।
104টি আসনে জয়ী হয়ে বিধানসভার একক বৃহত্তম দল হল বিজেপি। কংগ্রেসের বিধায়ক 78 জন। কুমারস্বামীর জনতা দল সেকুলারের মোট বিধায়কের সংখ্যা 37 জন।