This Article is From May 28, 2020

পুলওয়ামায় ৪০ কেজি বিস্ফোরক সহ উদ্ধার গাড়ি, চালক পলাতক

এক চেক পোস্টে গাড়িটিকে দাঁড়াতে বলা হলে সেটি গতি বাড়িয়ে ব্যারিকেড ভেঙে বেরিয়ে যেতে চায়। নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালাতে শুরু করলে গাড়ির চালক পালিয়ে যায়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

Pulwama: এটি ছিল সেনা, পুলিশ ও আধা সেনার যৌথ অভিযান। (ফাইল)

শ্রীনগর:

নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Forces) তৎপরতায় বড়সড় গাড়িবোমা হামলা থেকে রক্ষা পেল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা (Pulwama) জেলা। বুধবার রাতে তারা একটি গাড়িকে আটক করে। ওই গাড়িতে ৪০-৪৫ কেজি বিস্ফোরক আইইডি (IED) ছিল। এই সন্ত্রাসের পরিকল্পনার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে গত বছরের পুলওয়ামা হামল‌ার। সেবার এমনই এক আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলাতে মারা গিয়েছিলেন চল্লিশ জন জওয়ান। সিআরপিএফ কনভয়ের উপরে হানা দিয়েছিল বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নকল রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সাদা হুন্ডাই স্যান্ট্রো গাড়িটিকে চিহ্নিত করে এক চেক পয়েন্টে দাঁড়াতে বলা হয় বুধবার রাতে। কিন্তু গাড়িটি গতি বাড়িয়ে ব্যারিকেড ভেঙে বেরিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানাচ্ছেন, ‘‘নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালাতে শুরু করলে চালক বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যায়। আমরা গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে সম্ভাব্য হাম‌লার ব্যাপারে জানতে পেরে গিয়েছিলাম। গতকাল থেকেই গাড়িটির সন্ধানে ছিলাম আমরা।''

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে বিজয় কুমার আরও বলেছেন, ‘‘জঙ্গিটি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িকেই লক্ষ্য করে হামলার ছক কষেছিল। আমরা বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকছি। আমাদের সন্দেহ গাড়িতে ৪০-৪৫ কেজি বিস্ফোরক ছিল।'' তিনি আরও জানান গাড়ির চালক সম্ভবত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। তবে তার সঙ্গে জৈশ-ই-মহম্মদের যোগ ছিল। প্রসঙ্গত, গত বছরের পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনা ছিল জৈশ-ই-মহম্মদের।

লকডাউন ৪ শেষ হলে কী পদক্ষেপ, আলোচনায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর

Advertisement

গাড়িটি থেকে আইইডি সন্তর্পণে নামানো হয়েছে। পরে ‘বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াড' এসে সেগুলি ধ্বংস করে দেয়। বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এটি ছিল সেনা, পুলিশ ও আধা সেনার যৌথ অভিযান।

গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামাতেই এক আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলাতে মারা গিয়েছিলেন চল্লিশ জন জওয়ান। সেই হাম‌লার জবাব দিতে ভারতও জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানে ঢুকে।

Advertisement

পাকিস্তানে লাগাতার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে ফসল ধ্বংসকারী পঙ্গপালের: কৃষি বিশেষজ্ঞ

গত দু'মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিক শহিদ হয়েছেন। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে ৩৮ জন জঙ্গিও। তাদের মধ্যে অন্যতম কাশ্মীরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি নেতা রিয়াজ নাইকু। হিজবুল মুজাহিদিনের এই কমান্ডারকে গত মাসে পুলওয়ামাতেই খতম করা হয়।

Advertisement