সেনা সূত্রে খবর গতকাল মধ্যরাতে শুরু হয় গুলির লড়াই।
হাইলাইটস
- সেনা সূত্রে খবর গতকাল মধ্যরাতে শুরু হয় গুলির লড়াই
- কামরানের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল যুবকদের মগজ ধোলাই করা
- সাম্প্রতিক হামলার অনেক আগে থেকেই কামরানের নাগাল পেতে চেয়ছে বাহিনী
নিউ দিল্লি/ শ্রীনগর: পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনার পর সন্ত্রাস দমনে বড় ধরনের সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গি সংগঠন জইশ- ই- মহম্মদের শীর্ষ স্থানীয় জঙ্গি কামরানকে খতম করল বাহিনী। জঙ্গি কার্যকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি জইশ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজাহারের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। প্রায় ১২ ঘণ্টার এনকাউন্টারের পর আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই এনকাউন্টারে প্রাণ হারিয়েছে গাজি রাশিদও। আফগানিস্তানের এই বোমা বিশেষজ্ঞ পুলওয়ামার জঙ্গি হানার ছক কষে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই জঙ্গিদের নিকেশ করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন এক মেজর এবং সেনা বাহিনীর তিন জওয়ান।
গুলির লড়াইয়ে নিহত চার জওয়ান, পুলওয়ামার সন্দেহভাজন বোমা প্রস্তুতকারীর মৃত্যু
জানা গিয়েছে জইশ- এর যে কোনও কাজেই বড় ভূমিকা পালন করত কামরান। জঙ্গিদের এই চিফ অপরেশনাল কমন্ডারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল যুবকদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা। এই সাম্প্রতিক হামলার অনেক আগে থেকেই কামরানের নাগাল পেতে চেয়ছে বাহিনী। কিন্তু কোনও না কোনও উপায় সেনার নজরদারি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিল সে।
উত্তেজনার মাঝেই 'আলচনার জন্য' সে দেশের রাষ্ট্রদূত কে ফিরিয়ে নিল পাকিস্তান
সাম্প্রতিক হামলার পরিকল্পনা করেছিল গাজি। আত্মঘাতী জঙ্গি আদিলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রায় সবটাই যে করেছিল। গাড়ির ভেতর ওই পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত করাতেও তার বড় ভূমিকা ছিল।
সেনা সূত্রে খবর গতকাল মধ্যরাতে শুরু হয় গুলির লড়াই। ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফের দুটি কোম্পানি এবং স্পেশাল অপরেশান গ্রুপ এই হামলা চালায়।