শহিদ সেনাদের পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
লখনউ: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হানার তীব্র নিন্দা করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তিনি শহিদ জওয়ানদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন গুরুতর আহত জওয়ানদের জন্য। ৪৭ বছর বয়সী রাজীব-তনয়া সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলেও ঠিক ছিল। পুলওয়ামার জঙ্গিহানার জন্য যে সম্মেলন মুলতুবি রাখা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফের কনভয়ের ওপর ভয়াবহ জঙ্গিহানায় শহিদ হলেন অন্তত ৪০ জন সেনা। গুরুতর আহত আরও অনেকে। তাদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। অবন্তীপুরায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, "অত্যন্ত কাপুরুষের মতো কাজ এটা। এতজন সেনার শহীদ হয়ে যাওয়া মেনে যাওয়া না। আমি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করি"।
Pulwama IED Blast: ১০-১২ কিমি দূর থেকেও পাওয়া গিয়েছিল বিস্ফোরণের শব্দ
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "এই সময়টা রাজনৈতিক আলোচনার জন্য ঠিক নয় বলেই আমি মনে করি। যে সব পরিবার তাদের সন্তানকে হারালেন, যে স্ত্রী হারালেন তাঁর স্বামীকে, যে সন্তান হারাল তার বাবাকে, যে অভিভাবকরা হারালেন তাঁদের পুত্রকে, সকলের প্রতিই আমার গভীর সমবেদনা রইল। আমরা কেবল তাঁদের একটি কথাই বলতে চাই, এই চরমতম দুঃখের সময়ে আমরা তাঁদের পাশে আছি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছি"।
“আত্মবলিদান বিফলে যাবে না”, পুলওয়ামায় হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
একটি বিবৃতি পড়ে শোনান তিনি। সেই বিবৃতিতে লেখা ছিল, "পুলওয়ামার জঙ্গিহানায় যে সেনারা শহিদ হলেন তাঁদের মৃত্যুর জন্য গভীরতম শোকপ্রকাশ করছি। পরিবারের প্রিয়জনকে হারানোর কষ্ট ও ব্যথা আমি অনুভব করতে পারি। আমি তাঁদের বলতে চাই, শুধু কংগ্রেসই নয়, এই প্রবল শোকের সময়ে আপনাদের পাশে রয়েছে গোটা দেশ, এই বিশাল ও বিস্তীর্ণ ভারতবর্ষ"।