পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নিউ দিল্লি: বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় শহিদ ৪০ জওয়ানের দেহ দিল্লির পালামৌ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাল শুক্রবার সন্ধ্যায়।শহিদ জওয়ানদের বিমানবন্দরে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। C-130J বিমানে দিল্লিতে আনা হয় শহিদ জওয়ানদের দেহ, শনিবার তাঁদের দেহ গ্রামে পাঠানো হবে। শনিবার তাঁদের দেহ গ্রামে পাঠানো হবে।
৬০ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে সেনা বাহিনীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়, শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান।ঘটনার পর থেকে দুঃখ, শ্রদ্ধা এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সতর্কবার্তা দেন। বলেন, “বড় ভুল” করেছে হামলাকারীরা। এবং তাদের “অনেক মূল্য” চোকাতে হবে। একটি সরকারী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হবে।
পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে উদ্যোগ, P-5 দেশগুলির সঙ্গে কথা ভারতের: সূত্র
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানের থেকে “মোস্ট ফেবারড কান্ট্রি”র তকমা প্রত্যাহার করে নেয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ ধারায় জইশ ই মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহার সহ জঙ্গিদের তালিকা তৈরি করা এবং পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি সংগঠনগুলির কার্যকলাপ বন্ধ করায় সমর্থন করার জন্য” আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল ৬০ কেজি বিস্ফোরক, ৮০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েছিল দেহ
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসুদ আজাহারকে জঙ্গি ঘোষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা চিন।
শতাব্দীর শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এটাই জম্মু কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। ২০০১-এর অক্টোবরে জম্মু বিধানসভার গেটের সামনে একটি বিস্ফোরক বোঝাই টাটা সুমোর মাধ্যমে হামলা চালায়।সেবার ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে উরি হামলায় শহিদ হন ১৯ জন জওয়ান, তারপরেই সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনা।