পুলওয়ামা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি আদিল আহমেদ দার।
শ্রীনগর, দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় যে গাড়ি বিস্ফোরণের ফলে অন্তত ২০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হল, সেই গাড়িটি চালাচ্ছিল জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি আদিল আহমেদ দার। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়। কাকাপোরার বাসিন্দা আদিল আহমেদ দার গতবছরই এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে নিজের নাম লেখায়। তার অন্য দুটি নাম হল ' আদিল আহমেদ গাড়ি টকরানেওয়ালা' এবং 'ওয়াকস কম্যান্ডো অব গুন্দিবাগ'। প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে নিয়ে যাচ্ছিল যে বাসটি সেই বাসটিতে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই স্করপিও নিয়ে হানা দেয় আদিল আহমেদ দার। এই ভয়াবহ হানার পরেই তার ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হতে থাকে। ২০১৬ সালের উরিতে হানার পর এত ভয়াবহ জঙ্গিহানা সেনার ওপরে এই দেশ আর দেখেনি। প্রসঙ্গত, উরির হানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৯ জন সেনা।
“আত্মবলিদান বিফলে যাবে না”, পুলওয়ামায় হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একাধিক রাইফেল নিয়ে জইশ-ই-মহম্মদের ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আদিল আহমেদ দার। অণুসন্ধানকারীরাও এই হানার ব্যাপকতা দেখে চমকে গিয়েছেন। তার কারণ, জইশ-ই-মহম্মদের নেতৃত্বের প্রায় সবাইকেই গত কয়েক বছরের মধ্যে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছিল।
গত বছরই জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান হিসেবে কাজ করত যে, সেই মহম্মদ উসমানকে নিরাপত্তাবাহিনী মেরে ফেলে। মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাইপো ছিল সে। তার মৃত্যুর পর সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া গিয়েছে এমনটাই মনে করা হয়েছিল। দেখা গেল, কার্যত, সেই মনোভাবটি আদতে ঠিক কতটা ভ্রান্ত।