বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপুরাতে সিআরপিএফের কনভয়ে যে ভয়ঙ্কর জঙ্গিহানায় শহিদ হলেন অন্তত ৪০ জন সেনা এবং আহত হলেন আরও বহু, সেই হামলা যে হতে পারে তার আঁচ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, গোয়েন্দা দফতর তা নিয়ে তেমন গা করেনি বলেই অভিযোগ। সূত্রের খবর, মাত্র ২ দিন আগেই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ জানিয়েছিল যে, কাশ্মীরে খুব ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা হতে চলেছে। এমনকি কীভাবে আক্রমণ করা হবে, তাও অনলাইনে আপলোড করা ভিডিও-র মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠন। ওই ভিডিও-তে আফগানিস্তানের একটি জায়গাকে দেখানো হয়েছিল। যেখানে এই একইরকমভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ ওই ভিডিও সহ সম্ভাব্য জঙ্গিহানার সমস্ত খুঁটিনাটি কী কী হতে পারে তা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগকে। কিন্তু, তারা তা নিয়ে তেমনভাবে হেলদোলই দেখায়নি।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ ৪০ জওয়ান, বছরের সবচেয়ে বড় হামলা
তার ফল, বৃহস্পতিবারের এই ভয়ানক জঙ্গিহানা। স্মরণকালের মধ্যে ভারতীয় সেনার ওপর এত বড় মাপের আক্রমণ আর ঘটেনি।
এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, "অত্যন্ত কাপুরুষের মতো কাজ এটা। এতজন সেনার শহীদ হয়ে যাওয়া মেনে যাওয়া না। আমি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করি"।
“আত্মবলিদান বিফলে যাবে না”, পুলওয়ামায় হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
শুক্রবারই শ্রীনগর সফরে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের । তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল, সিআরপিএফের প্রধান এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করে বলেন, এই কাজের জন্য এমন সাজা দেওয়া হবে জঙ্গিদের, যা ওরা কোনওদিন ভুলতে পারবে না।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, ৭০'টিরও বেশি গাড়ির কনভয় নিয়ে যাচ্ছিল সিআরপিএফের জওয়ানরা। জম্মু-কাশ্মীর হাইওয়ের ওপর দিয়ে। গোরিপোরার সামনে দিয়ে। সেই সময়ই গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ করে জঙ্গিরা।