Pulwama terror attack: জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় কনভয়টি ছিল অনেক বড়
হাইলাইটস
- ২,৫০০ এরও বেশী সৈনিক ৭৮ টি সাঁজোয়া বাসে যাচ্ছিলেন
- জাতীয় সড়ক দিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিলেন তাঁরা
- ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও থেকে হামলার আশঙ্কা করে কর্তৃপক্ষ
নিউ দিল্লি: জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় হামলার পরদিনই শুক্রবার বিস্ফোরণস্থলে যায় সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডোবাহিনী, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড, এবং এনআইএ। ঘটনার পর গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জম্মু কাশ্মীরে তিন দশকেরও বেশী সময়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা।
হামলার ফলে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশী, ২,৫০০ এরও বেশী সিআরপিএফ জওয়ান ৭৮ টি সাঁজোয়াযুক্ত বাসে করে জম্মু কাশ্মীর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় হামলা চালানো হয়।
সূত্রের খবর, পুলওয়ামা হামলার ঠিক দুদিন আগে, জইশ জঙ্গিরা আফগানিস্তানে গাড়ি বিস্ফোরণের একটি ভিডিও আপলোড করে। সূ্ত্রের খবর, জম্মু কাশ্মীরের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ভিডিওটি শেয়ার করে এবং সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে তথ্য দেয়।
দিল্লি বিমানবন্দরে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল গান্ধী
সাধারণত সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তার জন্য উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে এক্ষেত্রে বড় সংখ্যার জওয়ান একসঙ্গে যাচ্ছিলেন।
সূত্রের খবর, গত দুদিন ধরে জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় জম্মু থেকে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ কনভয় রওনা দেয়। ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন জওয়ানরা এবং তাঁদের মোতায়েন করার আগে শ্রীনগরে রিপোর্টিং করার কথা ছিল।
বিকেল তিনটে নাগাদ, স্থানীয় জঙ্গি আত্মঘাতী বোমারু আদিল আহমেদ দার হামলার চালানোর জন্য একটি গাড়িতে অপেক্ষা করছিল। সূত্রের খবর, গাড়িতে ছিল ৬০ কেজি আরডিএক্স। বিস্ফোরণ এথটাই শক্তিশালী ছিল, কয়েক কিলোমিটার দূরে ছিটকে পড়ে কয়েকটি বাসের অংশ।
বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল ৬০ কেজি বিস্ফোরক, ৮০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েছিল দেহ
তবে কী কারে তার হাতে আরডিএক্স এল, বা কারা তাকে সাহায্য করল বা সেটা কী করেই বা নজর এড়িয়ে গেল।
বাঁ দিক থেকে কনভয় পেরিয়ে যাওযার চেষ্টা করে বোমারু, এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের দুটি বাসকে চিহ্নিত করে।তারই একটি বাসের সামনে সে বিস্ফোরণ ঘটায়, এবং কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়।
একটি বাস বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং আরেকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Pulwama Attack: বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েই প্রাণ হারালেন হিমাচলের জওয়ান তিলক রাজ
সরকারী একটি সূত্রের বক্তব্য, বাসগুলি যদি কাছাকাছি দূরত্বে চলত তাহলে সেটা নিয়ম লঙ্ঘন করত। কনভয়ের দুটি বাসের মধ্যে দূরত্ব যদি নিরাপদ দূরত্ব থাকত তাহলে পারিপার্শ্বিক ক্ষতি কমানো যেত।
সিআরপিএফ জওয়ানদের বাস যাওয়ার জন্য সকালেই জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।তা সত্ত্বেও জাতীয় সড়কে পৌঁছাতে পেরেছিল বোমারু।