জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফের কনভয়ের ওপর ভয়াবহ জঙ্গিহানায় প্রাণ হারাল অন্তত ১৮ জন সেনা। গুরুতর আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ৪০ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা প্রবল আশঙ্কাজনক। শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। অবন্তীপুরায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, অত্যন্ত কাপুরুষের মতো কাজ এটা। এতজন সেনার শহীদ হয়ে যাওয়া মেনে যাওয়া না। আমি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের আগামীকালই শ্রীনগর সফরে যাওয়ার কথা। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল, সিআরপিএফের প্রধান এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করে বলেন, এই কাজের জন্য এমন সাজা দেওয়া হবে জঙ্গিদের, যা ওরা কোনওদিন ভুলতে পারবে না।
পুলওয়ামায় শহিদ ১৮ সিআরপিএফ জওয়ান, উরির পর সবচেয়ে বড় হামলা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, ৭০'টিরও বেশি গাড়ির কনভয় নিয়ে যাচ্ছিল সিআরপিএফের জওয়ানরা। জম্মু-কাশ্মীর হাইওয়ের ওপর দিয়ে। গোরিপোরার সামনে দিয়ে। সেই সময়ই গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ করে জঙ্গিরা।
পিডিপি নেত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি টুইট করে বলেন, নিন্দার কোনও ভাষা নেই আমার কাছে। এত ভয়াবহ ও নারকীয় ঘটনাকে কিছুতেই মানা যায় না। আর কতদিন, কতদিন ধরে চলবে এইসব ঘটনা?
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা টুইট করে বলেন, "আমি এই হামলার কঠোরতম ভাষায় নিন্দা করছি। নিহত জওয়ানএর পরিবার ও আহত জওয়ানদের জন্যও প্রার্থনা করছি আমি"।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, পুলবামায় এতজন জওয়ানের আজ শতীদ হয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা শুনে আমি মর্মাহত। আমি ওই জওয়ানদের স্যালুট করি। তাঁদের আত্মা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনদের জন্য আমাদের প্রার্থনা সবসময়ই থাকবে।