দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ
হাইলাইটস
- হামলা সম্পর্কে সর্বদলীয় বৈঠকে বিভিন্ন দলের নেতাদের তথ্য দিলেন রাজনাথ
- সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার আগে রাজনাথের বাড়ি যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব
- । বেশ কিছুটা সময় দুজনে একান্তে আলোচনা সারেন
নিউ দিল্লি: জঙ্গি হামলার পর সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক হল। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বৃহস্পতিবার জঙ্গি হামলা হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় চল্লিশ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই বৈঠকটি ডাকেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে এক স্বরেই হোক প্রতিবাদ। জঙ্গি হামলা রুখতে একজোট হয়ে মোকাবিলার কথাই উঠে এল সর্বদলীয় বৈঠকে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এনসিপির শরদ পাওয়ার, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ‘ ও ব্রায়েন, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত, লোক জনশক্তি পার্টির নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিলাস পাসোওয়ান এবং আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরন্দ্রে সিং তোমার বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে সব দলই বলে রাজনৈতিক বিতর্ক বাদ রেখে সকলকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।
দিল্লি বিমানবন্দরে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল গান্ধী
সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার আগে রাজনাথের বাড়ি যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। বেশ কিছুটা সময় দুজনে একান্তে আলোচনা সারেন। এর আগে শুক্রবার কাশ্মীরে গিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানকার আধিকারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শহিদ জওয়ানদের কফিনও বহন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এছাড়া আরও বিভিন্ন সূত্র থেকে জঙ্গি হামলা সম্পর্কে যে তথ্য উঠে এসেছে সেগুলো সাংসদদের সামনে তুলে ধরছেন রাজনাথ। কাশ্মীরে গিয়ে রাজনাথ বলেন, সিআরপিএফ জওয়ানদের আত্মত্যাগের কথা দেশ কোনওদিন ভুলবে না। তাঁদের মৃত্যু বিফলেও যাবে না।
এদিকে জঙ্গি হানায় ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর মার্কিন মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন ভারতের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে কথা জানিয়েছেন, এ দেশের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে হোয়াইট হাউজ। ডোভালকে ফোন করে শুক্রবার জন জানিয়েছেন, ভারতের আত্মরক্ষা অধিকার আছে বলে আমেরিকা মনে করে। পরে এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান মোট দু'বার ডোভালের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতি তাঁরা যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন সেটাও জানান জন। হামলার পর থেকেই আমেরিকা বলে আসছে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বন্ধ করুক পাকিস্তান।