This Article is From May 12, 2019

চাকরি জীবন নিয়ে অখুশি, স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানিয়ে চিঠি মহারাষ্ট্রের যুবকের

চিঠিটিতে বলা হয়েছে, ওই যুবকের মনে হচ্ছে তিনি তাঁর বাবা মায়ের জন্য কিছুই করে উঠতে পারছেন না।

চাকরি জীবন নিয়ে অখুশি, স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানিয়ে চিঠি মহারাষ্ট্রের যুবকের

পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যক্তি বেশ শিক্ষিত এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের

পুণে:

চাকরি নিয়ে কমবেশি এই প্রজন্মের অনেকেই অখুশি। মনের মতো এবং যোগ্যতা মতো চাকরি না পাওয়া মানসিকভাবে প্রতিনিয়ত অসুস্থ করে তুলছে গোটা একটা প্রজন্মকে। এই অসুস্থতা থেকে বাঁচতে কারও ভরসা আপোষ, কারও কাছে উপায় স্বেচ্ছামৃত্যু (euthanasia)! হ্যাঁ, অস্থির কর্মজীবন থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জিই জানিয়েছেন এক যুবক। যুতসই চাকরির অভাব এবং বিয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে দেখে এই জীবন শেষ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বছর ৩৫-এর যুবক। ইচ্ছামৃত্যু চেয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনভিসের দফতরে চিঠিও পাঠিয়েছেন ওই যুবক। 

কারগিলে পাথর ছুঁড়ে ভালুককে খাদে ফেলে উল্লাস মানুষের! তীব্র ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায়

দত্তওয়াদি থানার ওসি দেবীদাস ঘেওয়ারে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান যে চিঠিটি ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই লেখা। তিনি বলেন, “চিঠিটিতে বলা হয়েছে, ওই যুবকের মনে হচ্ছে তিনি তাঁর বাবা মায়ের জন্য কিছুই করে উঠতে পারছেন না। তিনি এখন ঠিক আছেন।” ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, যুবক তাঁর অসুস্থ মা, যার বয়স প্রায় ৭০ এবং তার ৮৩ বছরের বাবার কথা লিখেছিলেন ওই চিঠিতে। 

“রাজনীতিবিদ হিসেবে নয় আমার স্টারডমের জন্যই মানুষ আমার জনসভায় আসেন”; দেব

পুলিশ জানিয়েছে, “যুবকের মনে হচ্ছে যে তিনি তাঁর বাবা মায়ের জন্য কিছু করতে পারছেন না। তাঁর বিয়ে সংক্রান্তও সমস্যা হচ্ছিল। আমরা তাঁর কাউন্সেলিং করাই।” পুলিশ আরও জানিয়েছেন, স্বেচ্ছামৃত্যুর (euthanasia) কামনা করা এই যুবক বেশ শিক্ষিত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারও বেশ ভালো। বিয়ের কারণেই কিন্তু হতাশ ছিলেন না ওই ব্যক্তি। নিজের চাকুরি জীবনে একেবারেই ভালো ছিলেন না তিনি, যোগ্যতা ও মনের মতো চাকরির অভাব এবং বাবা-মা'র প্রতি অসীম ভালোবাসা থেকেই শেষমেশ জীবন থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিতে চেয়েছিলেন তিনি, জানিয়েছেন  অফিসার দেবীদাস ঘেওয়ারে।

.