ডানপন্থী সংগঠনের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল।
নিউ দিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মহারাষ্ট্রের কোরেগাঁও ভিমাতে প্রবল সংঘর্ষের সঙ্গে যোগ থাকার কারণে গোটা দেশ থেকেই বিভিন্ন সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করছে পুনে পুলিশ। সমাজকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের বাসস্থানে আজ হানা দেয় পুলিশ। দিল্লি, হরিয়ানা, মুম্বাই, থানে, রাঁচি এবং হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতারও করে কয়েকজনকে। সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজকে গ্রেফতার করা হয় ফরিদাবাদ থেকে। সমাজকর্মী ও কবি ভারভারা রাও গ্রেফতার হন হায়দরাবাদ থেকে। সমাজকর্মী অরুণ ফেরেইরা এবং ভেনন গঞ্জালভেসও রয়েছেন পুলিশি হেফাজতে। আজ সকালে রাঁচিতে ফাদার স্ট্যান স্বামীর বাসস্থানেও হানা দেয় পুলিশ। ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ সহ বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ তাঁদের বাড়ি থেকে। পুলিশের দাবি, এই সমাজকর্মীরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।
1818 সালে হওয়া কোরেগাঁও ভিমা যুদ্ধে দ্বি-শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষদিনে আয়োজিত এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের জুন মাসে যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, তাঁদের একজনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিঠিতে ভারভারা রাওয়ের নাম দেখার পরেই তিনি অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ান পুলিশের। জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানটির মঞ্চ থেকে মাওবাদীদের পক্ষ নিয়ে ‘উস্কানিমূলক’ বক্সব্য পেশ করার জন্য বিশ্রামবাগ থানায় একটি এফআইআরের ওপর ভিত্তি করে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাদের ওই ‘বিশেষ’ বক্তব্যের ফলে কোরেগাঁও ভিমা গ্রামে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ।
কোরেগাঁও ভিমা গ্রামের সংঘর্ষের অন্যতম সাক্ষী এক দলিত মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। এক পরিত্যক্ত কুয়োর ভিতর থেকে।