This Article is From Jul 05, 2018

ছাত্রীদের অন্তর্বাসের রং নিয়ে ফতোয়া দেওয়া স্কুল জানাল, উদ্দেশ্য সৎ ছিল

ছাত্রীদের স্কার্টের দৈর্ঘ্য কতটা হবে, তাও বলে দেওয়া হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

ছাত্রীদের অন্তর্বাসের রং নিয়ে ফতোয়া দেওয়া স্কুল জানাল, উদ্দেশ্য সৎ ছিল

নির্দিষ্ট সময় ছাড়া পড়ুয়াদের বাথরুম ব্যবহার করাতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

পুনে:

পুনের মহারাষ্ট্র অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের এমআইটি স্কুলে গতকাল অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা মিলে স্কুলের এই স্বৈরাচারী নির্দেশের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। ওই স্কুলটির কর্তৃপক্ষ তাদের ছাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট রঙের অন্তর্বাস পরে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

পড়ুয়া ও অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের স্কার্টের দৈর্ঘ্যের মাপও বেধে দিয়েছিলেন।

এইসব ছাড়াও, একটি নির্দিষ্ট সময় ছাড়া আর অন্য কোনও সময় পড়ুয়াদের বাথরুম ব্যবহার করাতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ।

“ছাত্রীদের বলা হয়েছিল, হয় তোমরা সাদা রঙের অথবা চামড়ার রঙের অন্তর্বাস পরে আসবে স্কুলে। ওদের স্কার্টের দৈর্ঘ্য কতটা হবে, তাও ঠিক করে দিয়েছিল স্কুল। স্কুল ডায়েরিতে এইসব নির্দেশ লিখিতভাবে দিয়ে আমাদের সেখানে সই করে দিতে বলেছিলেন ওঁরা”, জানান এক বিক্ষুব্ধ অভিভাবক।

এই নির্দেশ ঠিকভাবে না মানা হলে তার জন্য কী কঠোর শাস্তি পেতে হতে পারে, তাও বলে দেওয়া হয়েছিল স্কুলের তরফ থেকে। ছাত্রীদের স্কার্টের দৈর্ঘ্য কতটা হবে, তাও বলে দেওয়া হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

এমআইটি গ্রুপ অব ইনস্টিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. সুচিত্রা কারাড নাগারে বলেন, এই সিদ্ধান্তের পিছনে যে উদ্দেশ্য ছিল তা ‘সম্পূর্ণ শুদ্ধ’। অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের বিপাকে ফেলার কোনও অভিপ্রায় ছিল না তাঁদের।

“স্কুলের ডায়েরিতে নির্দিষ্টভাবে এই নির্দেশগুলি দেওয়ার পিছনে অভিপ্রায়টি ছিল অত্যন্ত সৎ ও শুদ্ধ। অতীতের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই নির্দেশাবলী তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়া আমাদের এই বিষয়ে আর কোনও গোপন উদ্দেশ্য ছিল না”, বলেন সুচিত্রা নাগারে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.