ফতোয়ার প্রতিবাদ করে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হন অভিভাবকরা।
Pune: সমাজের মনন গড়ে ওঠে স্কুলে। ভাল -মন্দ চেনার পথও বাতলে দেয় স্কুল। এটা সবাই জানে। কিন্ত এবার খোঁজ মিলল এমন এক স্কুলের যারা ঠিক করে দেয় ছাত্রীদের অন্তর্বাসের রং ! বলে দেয় সাদা অথবা ঘিয়ে ছাড়া অন্য কোনও রংয়ের অন্তর্বাস পরতে পারবে না মেয়েরা। শুধু বলা নয় রীতিমতো ডায়েরিতে নোট রাখার ব্যবস্থাও চালু হয়। আরও বলা হয় এই আদেশ না মানলে তার ফল ভুগতে হবে। ঘটনাটা পুণের। জানা জানি হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। চাপের মুখে নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেয় স্কুল। এমন নির্দেশিকা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্ত এবার ঘটেছে তেমনটাই। সমাজকর্মীদের অনেকেই ব্যাপারটিকে ব্যক্তি স্বাধীনতার চূড়ান্ত অবমাননা বলে ব্যাখ্যা করছেন। এমন একটা নির্দেশিকা জারি করে কাঠগড়ায় এমআইটি বিশ্বশান্তি গুরুকুল স্কুল।
ফতোয়া ফিরিয়ে নিলেও এমনটা কেন করা হয়েছিল তার জন্য যুক্তি দিয়েছে এই বেসরকারি স্কুল। তাদের দাবি ছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছিল এমন পদক্ষেপ। এক বিজ্ঞপ্ততে স্কুল জানিয়েছে, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে হেনস্থা করতে নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। শুধুই ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছিল।
প্রতিবাদ প্রথম শুরু করেন অভিভাকদের একটা বড় অংশ। তারাই বিষয়িট নজরে আনেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী বিনোদ তাওড়ের। অভিভাবকের বক্তব্য শুনে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তাছাড়া তাঁর নির্দেশে পুণে পুরসভার শিক্ষা দফতরের একটি দল সেখানে গিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখে। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিভাবকদের পক্ষেই মত দেয়। আর কোনও উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্দেশিকা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়া হয় ।
কিন্ত এর আগে স্কুলের তরফে বার বার এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই জোরালো সওয়াল করা হয়েছিল। এখানকার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর তথা ট্রাস্টি সুচিত্রা কারাড নাগড়ে জানিয়েছিলেন সাদা পোশাকের নিচে গাঢ় রংয়ের অন্তর্বাস পরে অনেক ছাত্রীই সমস্যায় পড়েছিল।অভিভাবকদের থেকে সে কথা জানতে পেরেই এমন নিদান দেওয়া দরকার হয়ে পড়েছিল। এসবের পাশাপাশি ছাত্রীদের শৌচাগার ব্যবহারেরও ওপরেও নানা রকম নিয়ম আরোপ করেছিল এই স্কুল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)