প্রেমিকাকে গলা কেটে খুনের দায়ে ধৃত মহম্মদ শাকিব নামে এক তরুণ। মৃত্যুর পরেও প্রায় একবছর ফেসবুকে দিব্য 'সক্রিয়' ছিলেন একতা। যদিও নেপথ্যে কাজ করেছে ধুরন্ধর শাকিবের পরিকল্পনা। খুনের আগে প্রেমিকার গলার সোনার চেন, ওয়ালেট আর ফোন হাতিয়ে নিয়েছিল অভিযুক্ত আর তার পরিবার। গত একবছর একতার মোবাইল থেকেই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করত শাকিব। যাতে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় বেঁচে আছেন একতা। কিন্তু মীরাটে গত জুন মাসে খেত থেকে কাটা হাত উদ্ধার হয়। যে হাতে উল্কি ছিল। পরিবারের লোকজন সেই উল্কি দেখেই মঙ্গলবার শনাক্ত করে একতার দেহাংশ।এরপর তদন্তে একতা জয়সওয়ালের কাটা হাত ও দেহ।
এদিকে মঙ্গলবার লুধিয়ানার পুলিশ শাকিব-সহ অন্য ধৃতদের সাংবাদিকদের সামনে আনলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে একতার পরিবার। হামলা চালানো হয় অভিযুক্তদের ওপর। পুলিশি তৎপরতায় বড়সড় অঘটন ঠেকানো গিয়েছে। এমনটাই লুধিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর। তাদের দাবি, গত জুনে শুধু উল্কিওয়ালা হাত উদ্ধার হলেও ধন্দে ছিল পুলিশ। এদিকে, একতার নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। নিখোঁজ ওই তরুণীর ফোনের নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা গিয়েছে।
পুলিশের বন্দুক ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করেছিল শাকিব। কিন্তু পায়ে গুলি করে তাঁকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আপাতত চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত। প্রাথমিক জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে; বিত্তবান পরিবারের কন্যা একতা। এটা জেনেই তাঁকে প্রেমে ফাঁসিয়ে শাকিব ওরফে আমন। নিজেকে হিন্দু আমন নামে পরিচয় দিয়েছিল শাকিব।
এরপরেই প্রায় দু'সপ্তাহ প্রেমপর্ব চলার পর বাড়ি থেকে কয়েকলাখ টাকা নগদ ও ২৫ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালায় একতা। শাকিবের সঙ্গে মিরাট চলে আসেন। এবং থাকতে শুরু করেন। ঘুণাক্ষরেও জানতেন না, যাঁকে ভালোবেসে ঘরে ছেড়েছেন সেই সর্বস্ব লুট করে খেত নিয়ে গিয়ে খুন করবে একতাকে। এমনটাই জানিয়েছে মিরাট পুলিশ।
জানা গিয়েছে; শুধু ফেসবুক নয়, হোয়াটসঅ্যাপেও অন থাকতেন একতা। নিয়মিত বদলাতেন প্রোফাইল পিকচার। যদিও নেপথ্যে শাকিবের মাস্টারমাইন্ড।