This Article is From Jul 06, 2018

অন্য ধর্মের মানুষরাও কি ঢুকতে পারবেন জগন্নাথ মন্দিরে ?

অন্য ধর্মের  মানুষদের মন্দিরে প্রবেশের কথা বললেও কয়েকটি শর্ত দিয়েছে আদালত। বলেছে  যিনি ভেতরে প্রবেশ করছেন তাঁকে মন্দিরের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে।  

অন্য ধর্মের মানুষরাও কি ঢুকতে পারবেন জগন্নাথ মন্দিরে ?

অন্য ধর্মের  মানুষদের মন্দিরে প্রবেশের কথা বললেও কয়েকটি শর্ত দিয়েছে আদালত

পুরি:

একটা  সময় ইন্দিরা গান্ধিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। তখন তিনি মোটেই সাধারণ কেউ ছিলেন না।  ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবু ভিন ধর্মে বিয়ে করায় তাঁকে  সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এরকম উদাহরণের শুরু আছে কিন্ত শেষ নেই। এবার সেই চিরায়ত নিয়মে কি বদল আসবে ? এমন সম্ভবনা শুক্রবার তৈরি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে হিন্দু ধর্মের নন এমন মানুষেরও মন্দিরে প্রবেশ করানো যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে। বেঞ্চের বক্তব্য, ' হিন্দুধর্ম অন্য ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে না।  এর মাধমে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলতে থাকা অন্তরের শ্ৰদ্ধাই প্রতিফলিত হয়। '  এমন কথা বলেছে আদর্শ গগৈ ও এস আব্দুল নাজিরের ডিভিশন বেঞ্চ। 
 

অন্যদিকে শুধু মন্দিরে ঢুকতে  বাধা পাওয়াই নয় পান্ডাদের অত্যাচারও একটা বড় সমস্যা। সম্প্রতি জানা গিয়েছে মাস কয়েক আগে খোদ দেশের প্রথম নাগরিককেও হেনস্থা করা হয়েছিল, কিন্তু এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল পুরীর মন্দিরের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।  এ ব্যাপারেও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছে আদালত। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি উদ্যোগ নিতে হবে কেন্দ্রকেও। একই সঙ্গে মন্দির পরিচালন থেকে শুরু করে, প্রণামীর সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে কিনা তাও দেখার কথা বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। এ রকমের সমস্যা থেকে দ্রুত বের হতে জেলা  আদালতও উদ্যোগ নিতে সক্ষম বলে মনে করে ডিভিশন বেঞ্চ।  জানানো হয়েছে,  জেলা আদালতের বিচারক নিজেই সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতার বলে এ ধনের বিষয় হস্তক্ষেপ করতে পারে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সেটা সেখানকার হাইকোর্টকে জানাতে হবে।  

অন্য ধর্মের মানুষদের মন্দিরে প্রবেশের কথা বললেও কয়েকটি শর্ত দিয়েছে আদালত। বলেছে  যিনি ভেতরে প্রবেশ করছেন তাঁকে মন্দিরের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। পোশাক বিধি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু পালন করতে হবে অক্ষরে অক্ষরে। এগুলি ঠিকঠাক মানা হলে তবে অন্য ধর্মের মানুষদের প্রবেশাধিকার নিয়ে ভাবতে পারে মন্দির প্রশাসন। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে রথযাত্রা।  গোটা পৃথিবী থেকে আসবেন ভক্তরা।  তার আগে এমন পর্যবেক্ষণ সবদিক থেকেই তাৎপর্য বহন করে।  এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী অগাস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।  মৃনালিনী পাধি নামের এক আবেদনকারীর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত।  বেশ কিছু দিন ধরেই মামলা চলছে। এর আগে পুরীর জেলা জজকে মন্দিরের পরিস্থিতি সম্পর্কে  রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত। সেই  রিপোর্টের ওপরেই হল শুনানি।    

  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.