করোনার ভয়ে রাজপ্রাসাদ ছাড়ছেন রাজা-রানি!
লন্ডন: যতই রানি হোন, প্রাণের ভয় তো তাঁরও আছে! করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাই বাকিংহ্যাম রাজপ্রাসাদ (Buckingham Palace) থেকে সরে গেলেন রানি এলিজাবেথ (Queen Elizabeth)। রানি একা নন, তাঁর সঙ্গে প্রাসাদ ছাড়লেন রাজা ফিলিপসও। ৯৩ বছরের রানি তাঁর ৯৮ বছরের রাজাকে নিয়ে নরফোকের স্যান্ডিরহ্যাম এস্টেটে আপাতত থাকছেন।খবর, যুক্তরাজ্য ১,১৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই সংক্রমণে আক্রান্ত।
ছোঁয়া এড়াতে কোমরে অতিকায় বেড়ি পরে রোমের রাস্তায় ঘুরলেন এক প্রৌঢ়
১৩৫ টি দেশ ও তার আশপাশের অঞ্চলে এই মারাত্মক সংক্রমণের প্রভাবে প্রাণ কেড়েছে ৫,৩০০ জনের। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ১,৪২,২,০০০ এরও বেশি মানুষের মধ্যে। এরপরেই WHO একে মহামারি ঘোষণা করে। এই অবস্থায় প্রবীণ রাজা-রানির শরীরের কথা চিন্তা করেই রাজপ্রাসাদ থেকে সরানোর পদক্ষেপ নেয় রাজ পরিবার। লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই প্রাসাদে নিত্য যাওয়াআসা সাধারণ মানুষ থেকে রাজকর্মচারিদের। এছাড়া, প্রতি বৃহস্পতিবার রানি যেতেন উইন্ডসর। সেসব আপাতত বন্ধ। সংক্রমণ এড়াতে রানির সঙ্গে সরানো হয়েছে বেশ কিছু রাজ কর্মচারিকেও। রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমনিতেই বার্ধক্যজনিত কারণে রানি অসুস্থ। ফলে, সংক্রমণ ছড়ালে তিনি যুঝতে পারবেন না। তাই সরিয়ে দেওয়াই শ্রেয় মনে করেছে রাজ পরিবার।
বিদেশী পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ করল বাংলাদেশ, তালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
২১ এপ্রিল রানির জন্মদিন। তার আগে যাতে তিনি কোনোভাবে অসুস্থ না হয়ে পড়েন তার জন্যেও তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি, রাজকর্ম পরিচালন কর্তৃপক্ষের। একই সঙ্গে, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ম্যাট হ্যানকক প্রবীণ এবং শারীরিক ভাবে দুর্বলদের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছেন, খবর এমনটাই।