নাগপুরে আরএসএসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণ রক্ষা করবেন প্রণব
হাইলাইটস
- প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী আরএসএসের অনুষ্ঠানে যাবেন।
- কংগ্রেসের নেতারা তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে অনুরোধ করেছেন।
- অনুষ্ঠানটিতে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতেরও থাকার কথা।
নিউ দিল্লী:
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে তাঁর যাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরমহলে যে অস্বস্তিকর বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় হেঁয়ালি করে বলেন, "আমি এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রচুর চিঠি, অনুরোধ, ফোন পেয়েছি। কিন্তু, একজনকেও কোনও উত্তর দিইনি। আমার এই ব্যাপারে যা বলার, তা আমি নাগপুরে গিয়ে বলব"।
82 বছর বয়সী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করার সিদ্ধান্তটি কংগ্রেসের বহু নেতা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে অনুরোধ করেছিলেন। 2012'তে দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে পাঁচ দশক ধরে তিনি ছিলেন কংগ্রেসেরই সদস্য।
যে যে কংগ্রেস নেতা প্রণবকে ওই অনুষ্টানে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা হলেন রমেশ চেন্নিথালা, জয়রাম রমেশ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি কে জফফর শরিফ এবং বাংলার নেতা অধীর চৌধুরী।
কংগ্রেসের অনেকেই আবার এই ব্যাপারটি দেখতে বেশি আগ্রহী যে, উনি সংঘ শিক্ষা বর্গতে গিয়ে আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্দেশ্যে কী বলেন 7 জুনে।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন প্রণব মুখোপাধ্যায় নিজের পদের সংবিধান নির্দিষ্ট গণ্ডিটির বাইরে না গিয়ে একাধিকবার মনের কথা বলেছেন। হিংসার ক্রমে বেড়ে ওঠা, জনসাধারণের অশান্ত মনোভাব এবং জাতীয়তাবাদ ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে ওঠা বিতর্কে বিরক্ত তিনি বহুবার নিজেদের অসন্তোষ খোলাখুলি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি নিজের ভালোলাগার কথাও লুকোননি কখনও।গত সপ্তাহে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ক্যাবিনেট মন্ত্রীসভায় তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী চিদম্বরমও পরামর্শ দেন। চিদম্বরম বলেন, “তাঁকে ওখানে যেতে বাধা না দিয়ে বরং এই কথাটা মনে করিয়ে দেওয়া অনেক জরুরি যে, ‘আপনি ওখানে যান, স্যার। তারপর বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভালো করে দেখিয়ে দিন, আরএসএসের মতাদর্শে ঠিক কোথায় কোথায় গলদ রয়েছে’ ”।