বিলটি পেশ হয় রাজ্যসভায়, তবে সাময়িকভাবে মুলতুবি হয়ে যায় সভার কাজ
হাইলাইটস
- লোকসভার পর এই বিল রাজ্যসভাতেও পাস করিয়ে নিল মোদী সরকার
- বিরোধীরদের দাবি ভোটের আগে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে মোদী সরকার
- যুক্তি খারিজ করে প্রধানমন্ত্রীর দাবি প্রত্যেক বছর ভোট হয়
নিউ দিল্লি:
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের উচ্চবর্ণের মানুষদের চাকরি এবং শিক্ষায় দশ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। লোকসভার পর এই বিল রাজ্যসভাতেও পাস করিয়ে নিল মোদী সরকার। বিলটিকে এবার রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি স্বাক্ষর করে দিলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। বিরোধীরা বলছে এই বিলটিকে সামনে রেখে ভোটের আগে রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে সরকার। সেই যুক্তি খারিজ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি নির্বাচন প্রতি বছর হয় কিন্তু এটি ন্যায় বিচারের প্রশ্ন।
দেখুন ১০ টি তথ্য
রাজ্যসভায় ১৬৫টি ভোট পেয়ে পাস হয়ে গেল ১২৪ তম সংবিধান সংশোধন বিল। বিপক্ষে ভোট দিলেন মাত্র সাত জন সাংসদ। লোকসভায় বিলটিকে সমর্থন করেছিলেন ৩২৩ জন সাংসদ। আর বিরোধিতা করেন মাত্র তিন জন।
বিলটি পাস হয়ে যাওয়ার পর টুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যসভায় বিল পাস হয়ে গিয়েছে শুনে ভাল লাগছে । তাছাড়া আজ এ নিয়ে সভায় খুবই উচ্চমানের বিতর্ক হয়েছে। সেটাও বাড়তি পাওনা।
সমর্থন করলেও মুখ্য বিরোধী দল গুলির দাবি বিলটি পাস করাতে অকারণ তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। কংগ্রসের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবাল বলেন, নতুন করে সংরক্ষণ দেওয়ায় একটি জটিলতা তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করে দেওয়া সংরক্ষণের উচ্চ সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। সেটা নিয়ে আরও চিন্তা ভাবনা করা দরকার।
আম আদমি পার্টি আগেই জানিয়েছিল তারা রাজ্যসভার ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। দলের নেতা সঞ্জয় সিংযের দাবি এই বিলে বাস্ততার অভাব রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বলছে এই সংরক্ষণটি দেওয়া হচ্ছে আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। কোনও জাতিগত সমীকরণ এখানে কাজ করছে না। আর তাই ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়টি এখানে কাজ করবে না। তবে আর্থিক দিক থেকে দেওয়া সংরক্ষণ সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে এমন নিদর্শনও আছে।
বিরোধীদের দাবি প্রসঙ্গে আগ্রার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিল পেশের সঙ্গে নির্বাচনকে এক করে দেখা ঠিক নয়। ভোট প্রত্যেক বছর হয়। এই জটিলতা এড়িয়ে যেতেই আমরা লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার কথা বলে আসছি।
পরে পাস হয়ে গেলেও সকালে কংগ্রেসের বিক্ষোভে মুলতবি হয়ে যায় রাজ্যসভা। তাদের দাবি বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক। এই দাবিকে সমর্থন করে কয়েকটি বিরোধী দল।
বিরোধীদের মধ্যে অবশ্য সম্পূর্ণ ঐক্যের ছবি দেখা যায়নি। বিলকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর বিষয়টিকে সমর্থন করেনি সমাজবাদী পার্টি বা বহুজন সমাজ পার্টি।
সংবিধানে আর্থিক দিক দিয়ে সংরক্ষণের কথা বলা হয়নি বলে এই সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। আর নিয়ম অনুযায়ী সংবিধানের সংশোধন পাস করাতে সাংসদদের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন দরকার হয়।
এই বিল থেকে ব্রাহ্মণ, রাজপুত, জাট, মারাঠা সহ কয়েকটি সম্প্রদায়ের মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Post a comment