কুুতুবমিনার বন্দি সিগারেটের জালে
নয়া দিল্লি: দিল্লি দূষণ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। রবিবার টুইটে কংগ্রেস সাংসদের (Congress MP) অভিযোগ, 'কুতুব মিনার (Qutub Minar) যেন সিগারেটের ধোঁয়ার জালে বন্দি। একই সঙ্গে তিনি একটি প্রতীকী ছবিও পোস্ট করেন সোশ্যালে। সেখানে কুতুব মিনারের পাশেই এক প্যাকেট সিগারেট। সঙ্গে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, "যাঁরা সিগারেটে সমর্পিত প্রাণ,তাঁরা একবার দিল্লির বাতাসের স্বাদ নিয়ে যান"। এখানেই শেষ নয়।তিনি সিগারেটের প্যাকেটের সতর্কবাণীর আদলে ছবির মাধ্যমে পাঠিয়েছেন সতর্কবার্তা, সিগারেটের মতোই দিল্লি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!
দিল্লির দূষণে উদ্বিগ্ন জার্মান চান্সেলর, দিলেন দূষণমুক্তির পরামর্শ
দেখুন টুইট
খবর, রবিবারের রাজধানী যানমুক্ত হওয়ায় সকাল থেকেই অন্যদিনের তুলনায় সামান্য গতি বেড়েছে বাতাসের। আর তার জেরেই দূষণের মাত্রা নিম্নমুখী। তবে জানুারির পর দীপাবলির বাজির দৌরাত্ম্যে ফের দিল্লির বাতাস দূষিত হওয়ায় শুক্রবার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ সুপ্রিম নির্দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মূহূর্তে রাজধানীর বাতাস শহরবাসীর স্বাস্থ্যের পক্ষে একটুও নিরাপদ নয়। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পড়শি রাজ্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, এই সময় দুই রাজ্যের কৃষক ক্ষেত পরিষ্কার করতে যে পরিমাণে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসল পোড়ান তারই ধোঁয়ায় বিষাক্ত দিল্লি। এই ঘটনা প্রত্যেক শীতের।
Delhi Pollution: দূষণের জেরে সুপ্রিম নির্দেশে জারি জরুরি অবস্থা, বন্ধ স্কুল
প্রসঙ্গত, কেজরিওয়াল দিল্লিকে গ্যাস চেম্বার-এর তকমা দেওয়ার পরেই সেখানকার স্কুলপড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দূষণ প্রতিরোধক মাস্ক। শিশুদের কথা ভেবে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
এদিকে কেজরিওয়ালকে হরিয়ানা-পাঞ্জাবকে দোষী সাব্যস্ত করার বদলে শহরের নিকটস্থ পাঁচ রাজ্যের কারখানা থেকে তৈরি বিষাক্ত গ্যাস নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে এদিকে নজর দিলে সহজেই দূষণমুক্ত হবে দিল্লি।
প্রকাশিত ভারতের নতুন মানচিত্র! দেখে নিন কেন্দ্রশাসিত জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের অবস্থান
দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ কাজও ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে EPCA বা পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, জানুয়ারির পর এই প্রথম দিল্লিতে দূষণের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়াল। দূষণ রোধে ক্রিসমাসের সময়েও বাজি-পটকা না ফাটানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়েছে, দূষণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকলে একসময় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শহরের যান চলাচল। কোনও ট্রাককে ঢুকতে দেওয়া হবে না রাজধানীর রাস্তায়। পাশাপাশি, EPCA প্রধান ভুরে লালের নির্দেশ, দূষণ না কমা পর্যন্ত কারোরই খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করাই শ্রেয়। এতে স্বাস্থ্যের উন্নতির বলে আরও অবনতি ঘটবে। শ্বাসগ্রহণের সময় বিষাক্ত বাতাস ঢুকে যাতে ফুসফুসের ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে বেরোনোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।