হেভিলিফট হেলিকপ্টার চিনুক আর আপাচে'র (Apache) অভিষেক ভারতীয় বায়ুসেনায়। রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে (Republic Day) আকাশপথে কেরামতি দেখায় এই দুই 'নবাগত'। সাধারণত, বিপর্যয় মোকাবিলায় চিনুকের (Chinuk) জুড়ি মেলা ভার। এমনটাই দাবি করেছে বায়ুসেনার একটা সূত্র। প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে অত্যাধিক ভার (মানুষ কিংবা কয়েক টন সামগ্রি) বহনে সক্ষম ওই চিনুক। বায়ুসেনার 'মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা' প্রকল্পের অন্তর্গত এই চিনুক। পাশাপাশি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শত্রু পক্ষের মোকাবিলা করতে অনেক সহায়ক আপাচে। বায়ু থেকে বায়ু কিংবা বায়ু- ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে শত্রু ঘাঁটি ধ্বংস করতে সিদ্ধহস্ত এই হেলিকপ্টার।
এই দুই হেভিলিফট হেলিকপ্টারের পাশে লাইটওয়েট ধ্রুব, এমআই-১৭, ডরনিয়ার এবং দানবীয় সুপার হারকিউলিসকে দেখা গিয়েছে রাজপথে উপস্থিত অতিথিদের সম্বর্ধনা জানাতে। আকাশপথে এই যুদ্ধ-বিমান ও কপ্টারগুলো নিজেদের ক্ষমতা জাহির করেছে। এই তালিকায় ছিল জ্যাগুয়ার, আধুনিক মিগ-২৯, সুখোইয়ের মতো অভিজাত যুদ্ধবিমানগুলো।বায়ুসেনার আর্সেনালের সাম্প্রতিক সদস্য, রাফালে, তেজস, ভুমি-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র 'আকাশ' এবং 'অস্ত্র' ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী এদিন দেখিয়েছে আইএএফ।
এদিনের অনুষ্ঠানের একদম শেষে তিনটি এএলএইচ এমকে হেলিকপ্টার 'ভিক' গড়ে বায়ুসেনার মৌলিক বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা করে। পড়ে সেই প্রদর্শনীর অংশ হয় চিনুক-আপাচে। ত্রিশূলের মতো ওই পাঁচটি হেলিকপ্টারকে আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে।
"আকাশে আমাদের চোখ।" এটাই 'ভিক' গঠনের মূলমন্ত্র। সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতে একে একে এগিয়ে আসে সুপার হারকিউলিস, সুখোই, আধুনিক মিগ-সহ অন্য যুদ্ধবিমানগুলো। আকাশে বিমানগুলোর অবস্থান, ভুমি থেকে ঠিক যেন 'নেত্র'র মতো লাগছিল।
ভারতীয় বায়ুসেনার সবকটি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এদিন একে একে আকশপথ পরিক্রমা করে নিজেদের শৌর্য ও বিক্রমের ক্ষমতা প্রদর্শিত করে রাজপথে উপস্থিত দেশি-বিদেশি অতিথি- অভ্যাগতদের মনোরঞ্জন দিয়েছে।
(PTI থেকে সংগৃহীত)