தமிழில் படிக்க Read in English हिंदी में पढ़ें
This Article is From Apr 10, 2019

মোদি সরকারকে জোর ধাক্কা শীর্ষ আদালতের; রাফালের চুরি যাওয়া নথি দেখবে আদালত

Rafale case: রাফাল যুদ্ধ বিমানের চুক্তির বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ওই রায়ে ক্লিনচিট দিয়েছিল আদালত।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,

Rafale case: সরকার আদালতকে জানিয়েছিল চুরি যাওয়া নথি প্রমাণ হিসেবে পিটিশনকারীরা ব্যবহার করেছিল

নিউ দিল্লি :

রাফাল যুদ্ধ বিমানের মামলার (Rafale fighter jet case) প্রমাণ হিসাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নথিপথ ‘চুরি' গেছে বলে মেনে নিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাফাল জেট বিমানের চুক্তির ওই সমস্ত কাগজ মন্ত্রকের অফিস থেকেই খোয়া গিয়েছে বলে বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রাথমিক দাবি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

রাফাল যুদ্ধ বিমানের মামলার প্রমাণ হিসাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নথিপথ ‘চুরি' গেছে বলে মেনে নিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। রাফাল জেট বিমানের চুক্তির ওই সমস্ত কাগজ মন্ত্রকের অফিস থেকেই খোয়া গিয়েছে বলে বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রাথমিক দাবি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

‘কানহাইয়ার জয় গণতন্ত্রের জয়!' ছাত্রনেতার প্রচারে কোন বলিউড অভিনেত্রী?

Advertisement

এর অর্থ অনুমোদন ব্যতীত প্রচার মাধ্যম দ্বারা ওই শ্রেণিবদ্ধ দলিল প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে এবং ডিসেম্বর মাসের রায়ের (December verdict) পুনঃপরীক্ষা করার একটি শক্তপোক্ত ভিত্তি হিসাবেও ব্যবহৃতত হতে পারে। রাফাল যুদ্ধ বিমানের চুক্তির বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ওই রায়ে ক্লিনচিট দিয়েছিল আদালত। গণমাধ্যমকে দমন করার জন্য কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে বহু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল, আজ শীর্ষ আদালতের এই রায় সংবাদ মাধ্যমের জন্যও বড় জয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় উদ্ধৃত করে দ্য হিন্দু কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি সিরিজে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশিত ‘সমান্তরাল আলোচনার' প্রতিবাদ করেছিল মন্ত্রক। ওই নথিকে উল্লেখ করে আদালতের রায় পর্যালোচনা জন্য বহু পিটিশন জমা পড়ে।

Advertisement

কেন্দ্র সরকার আদালতকে জানায়, আবেদনকারীদের দায়ের করা নথিগুলি ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সংবেদনশীল'! যারা কাগজপত্র ফটোকপি করার চক্রান্ত করেছে তারাই নথি চুরি করেছে এবং জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করে জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলছে। আদালত এই যুক্তি বরখাস্ত করেছে। গত মাসেই শীর্ষ আদালত জানায়, তথ্য জানার অধিকার আইন (Right To Information Act) প্রতিষ্ঠার পর থেকে নথিপত্রের গোপনীয়তার ধারণাটির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। 

'লজ্জা করে না, সেনা-শহিদদের নাম করে ভোট চাইছে', মোদীকে আক্রমণ মমতার

Advertisement

আবেদনকারী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “যদি কোনও দলিল কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয় তবে তা কীভাবে পাওয়া গিয়েছে তা অপ্রাসঙ্গিক বলেই মনে হয়।" পেন্টাগনের কাগজপত্র ফাঁসের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, একবার নথি প্রকাশিত হলে সরকার আর সেসবের অধিকার দাবি করতে পারে না।

দ্য হিন্দু পাবলিশিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এন রাম বলেন, নথিগুলি জনগণের স্বার্থেই প্রকাশ করা হয়েছে এবং সংবাদ সংস্থাগুলি এর উত্সগুলি সুরক্ষিত রাখবে। গত মাসে শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “কেন্দ্রের মতে, এই নথি জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করবে এবং আদালতের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়... আমাদের এটি আরটিআই আইনের অধীনে বিবেচনা করতে হবে।” ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে আদালত বলে, “দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল সংগঠনগুলিকেও আরটিআইয়ের অধীনে তথ্য প্রকাশ করতেই হবে।"

Advertisement

ডিসেম্বর মাসে শীর্ষ আদালত আদালত সেই পিটিশোনটি খারিজ করে দেয় যাতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে অতিরিক্ত দামে ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধ বিমান (36 Rafale fighter jets) কেনার চুক্তি করে সরকার আসলে দাসল্ট এভিয়েশনের সঙ্গে অনিল আম্বানির প্রতিরক্ষা সংস্থাটির অফসেট চুক্তিতে সহায়তা করেছে। আদালত তখন জানিয়েছিল, সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই।

দ্য হিন্দু কর্তৃক উদ্ধৃত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নথিতে বলা হয়েছে, “পিএমও সমান্তরাল আলোচনায় MoD এবং আলোচক দলটির অবস্থানকে দুর্বল করেছে"। অন্য একটি রিপোর্টে দ্য হিন্দু আরও জানিয়েছে যে ফ্রান্সের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি প্রদানে অস্বীকার করায় এই চুক্তি ভারতের জন্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।

Advertisement

কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল দাবি করে যে, নরেন্দ্র মোদি সরকার আপত্তি সত্ত্বেও ফ্রান্সের দাসল্ট এভিয়েশন থেকে ৩৬ টি রাফাল যোদ্ধা বিমান কিনে ইউপিএ-আমলের চুক্তি পুনর্বিবেচনা করেছিল।

Advertisement