Rafale deal: সংসদের বাইরে বিক্ষোভে রাহুল গান্ধী, তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং
নিউ দিল্লি: কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস রাফাল যুদ্ধ বিমানের বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে আজ সকালে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা কাগজের প্লেন বানিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা ক্যাগ (CAG) সংসদে তাঁদের প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন কংগ্রেস নেতারা। আগেকার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের চুক্তির থেকে প্রধানমন্ত্রীর করা চুক্তিটি ২.৮% সস্তা বলে জানানো হয়েছে ক্যাগের ওই রিপোর্টে।
রাফাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নকারীরা সরকারি সমঝোতাকারীরাইঃ রিপোর্ট
রাহুল গান্ধী ক্যাগ রিপোর্টটি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এটি আসলে ‘চৌকিদার অডিটর জেনারেল' রিপোর্ট। ক্যাগের রিপোর্টে বিতর্কিত দামের বিষয়ে উল্লেখই নেই কারণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েই রেখেছে যে এই বিবরণ প্রকাশ করা যাবে না। এর আগে কংগ্রেস সভাপতি দ্য হিন্দুর একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ভাল দাম আর দ্রুত ডেলিভারি নিয়ে যে কথা বলেছিলেন তা একেবারেই যথাযথ নয়।
রাহুল গান্ধী আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে দুপুরেই কথা বলবেন।
আপ-এর সমাবেশে বক্তব্য পেশ করার পর সংসদ ভবনেও যাবেন মমতা
গতকাল রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন যে, মোদি “অনিল আম্বানির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন।” তিনি জানান যে, শিল্পপতি জানিয়েছেন যে তিনি প্যারিসে গিয়েছিলেন এবং ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন। এর ঠিক ১০ দিন পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে গিয়ে ৩৬ টি জেট কেনার ঘোষণা করে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করেন।
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স ডিফেন্স একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ঘটনাগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে এবং বাস্তবকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।” একজন মুখপাত্র জানান, ১০০ টিরও বেশি নৌযান হেলিকপ্টারের জন্য একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য শিল্পপতি ফ্রান্স সফর করেন, যার জন্য সরকার ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক হেলিকপ্টার নির্মাতাদের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছিল।
এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যেতে অখিলেশকে বাধা, তীব্র প্রতিবাদ মমতার
কংগ্রেস অভিযোগ করে যে, রাফাল নির্মাতা দাসল্টের অফসেট অংশীদার হিসেবে রিলায়েন্স ডিফেন্সের মালিক অনিল আম্বানিকে উপকৃত করার জন্য সরকার অতিরিক্ত টাকায় রাফাল চুক্তি স্বাক্ষর করে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দাসল্ট ও অনিল আম্বানি দু'জনেই।
ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ৮.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই চুক্তির তদন্ত করতে অস্বীকার করে এবং অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জমা পড়া পিটিশনগুলিও বাতিল করে দেয়। কিন্তু বিরোধী দলগুলি বলছে সরকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রেখেছে।