এখানে রইল ১০ টি তথ্য
২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর তারিখের ওই নোটটি তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকরকে পাঠানো হয়েছিল। তাতে লেখা ছিল এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে পদক্ষেপ করছে তার উল্টো পথে হাঁটছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহনের লেখা সেই নোটে বলা হয়েছে যুদ্ধ বিমান কেনা সংক্রান্ত আলোচনা থেকে বাইরে থাকা উচিত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের।
গত বছর সুপ্রিম কোর্টে সরকার বলে রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কোনও ভূমিকা ছিল না।
দ্য হিন্দু কাগজে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদক এন রাম এনডিটিভিকে বলেছেন মোদী সরকার বিষয়টি আদালতের কাছে গোপন করেছিল। এটা আদালতের অবমাননার সামিল।
দ্য হিন্দু সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন কে স্বাগত জানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ওই সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হস্তক্ষেপ চায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কংগ্রেস সভাপতি বলেন এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী দপ্তর রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছিল শুধু তাই নয় এরপর সুপ্রিম কোর্টের রায়ও প্রশ্নের মুখে পড়ে। রাহুল বলেন প্রধানমন্ত্রী দপ্তর জনগণের স্বার্থে হস্তক্ষেপ করে নি। তারা অনীল আম্বানির জন্য হস্তক্ষেপ করেছিল। এখান থেকেই প্রমাণ হয়ে যায় চৌকিদার ই চোর।
গত মাসে প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা অধুনা গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। পরে তিনি দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে না জানিয়ে চুক্তিতে বদল হয়েছিল।
রাহুলের দাবি অস্বীকার করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।
পাল্টা রাহুল বলেন, তাঁর মন্তব্যে চাপে পড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই পাল্টা গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে চাপ দিয়ে বক্তব্য বদলাতে বলছেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ অনীল আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই চুক্তিতে হস্তক্ষেপ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
এই রিপোর্টের বক্তব্য আরও বেশি করে জোরাল হল বলে মনে করা হচ্ছে। .