हिंदी में पढ़ें
This Article is From Jul 31, 2020

ভারতীয় বায়ুসেনায় রাফাল যোগ দেওয়ার পরে ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান!

Pakistan on Rafale: ভারতে রাফাল আসার পরে সেবিষয়ে চিন কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও পাকিস্তান প্রমাদ গুণছে বলেই মনে করা হচ্ছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Rafale Fighter Plane: ২৯ জুলাই ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে পৌঁছয় ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান

Highlights

  • ২৯ জুলাই ভারতে এসে পৌঁছেছে ৫ টি রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয় ভারতের
  • রাফাল বায়ুসেনায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান
নয়া দিল্লি:

২৯ জুলাই অর্থাৎ গত বুধবারই ফ্রান্স থেকে মোট ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Fighter Plane) ভারতে এসে পৌঁছেছে। এই (Rafale) ঘটনায় ভারতের (India) অন্য প্রতিবেশী দেশগুলো কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও পাকিস্তান প্রমাদ গুনছে। যদিও লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী চিন এখনও এবিষয়ে টুঁশব্দও করেনি। কিন্তু পাকিস্তান (Pakistan) রাফাল নিয়ে এতটাই বিচলিত যে তারা (Pakistan on Rafale) ভারতের আন্তর্জাতিক ফোরামে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। একথা সকলেই মানবে যে, রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো যে পরিমাণ প্রযুক্তিগত শক্তির অধিকারী তার মোকাবিলা করার জন্য এই মুহূর্তে অন্তত চিন বা পাকিস্তান, কারও কাছেই যোগ্য জবাব নেই। এ জাতীয় বিমান নেই তাতে সন্দেহ নেই। লাদাখ আর সিয়াচেন, যার উপর চিন ও পাকিস্তানের সর্বদা লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে, সেখানে রাফাল বিমান মোতায়েন করে দুই দেশকে জোরালো বার্তাও দিতে পারে ভারত। এদেশের প্রয়োজন বিবেচনা করে ফ্রান্স খুব কম সময়ের মধ্যেই ৫টি যুদ্ধ বিমান ভারতকে সরবরাহ করেছে। মোট ৩৬ টি রাফাল কেনার চুক্তি হয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে, এই প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই।

ভারতে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে করোনা, একদিনে ৫৫,০০০ এরও বেশি মানুষ আক্রান্ত

এয়ার টু এয়ার মিসাইল রাফাল জেটগুলির অন্যতম ইউএসপি। এর ফলে ১৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেট বিদ্ধ করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এয়ার টু এয়ার মিসাইল রাফাল জেটগুলির অন্যতম ইউএসপি। এর ফলে ১৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেট বিদ্ধ করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ৪৫ টি নিশানায় এক সঙ্গে আঘাত হানতে পারে রাফাল। রাফালের বায়ু থেকে বায়ু এবং বায়ু থেকে ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষমতা ৩৭০০ কিলোমিটার। রাফালকে বলা হচ্ছে ৪.৫ জেনারেশন এয়ারক্রাফট। রাফালের নির্মাণকারী সংস্থা দাসল্ট-এর দাবি, এগুলি ওমনিরোল এয়ারক্রাফট। অর্থাৎ প্রত্যেকটি মিশনে এই যুদ্ধবিমানকে যে লক্ষ্যে কাজে লাগানো হয়, প্রয়োজনে রাফাল তার থেকেও অতিরিক্ত করার ক্ষমতা রাখে। 

Advertisement

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পুরোপুরি সেনা সরায়নি চিন, অভিযোগ ভারতের

এই যুদ্ধবিমান এদেশের মাটি ছোঁয়ার পরপরই বলা যায় নতুন উদ্যম এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনায়, কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্যে রাফাল তাঁদের সামরিক শক্তি যথেষ্ট বৃদ্ধি করবে। এদিকে রাফাল প্রসঙ্গে পাকিস্তান বৃহস্পতিবার বলেছে যে, তাঁরাও দেখেছে যে ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত, যা কিনা প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে সাজানো হতে পারে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, "আমরা সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনায় রাফালের যোগদান সম্পর্কিত খবর দেখেছি। ভারত যেভাবে সুরক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় সামরিক অস্ত্রের থেকে আরও বেশি সামরিক ক্ষমতা অর্জন করছে তা খুবই দুঃখজনক।"

Advertisement

তিনি একথাও বলেন, "অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানটি যেভাবে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম তাতে আরও  স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে অভিপ্রায়। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র জমা দেওয়ার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।" 

২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ফরাসি সংস্থা দাসল্ট এভিয়েশন থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্যে ৫৯,০০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারেই ভারতকে এই যুদ্ধবিমান জোগান দিচ্ছে ফ্রান্স। ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমানের মধ্যে ৩০ টি যুদ্ধবিমান এবং ৬টি শুধু প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করার জন্য।

Advertisement