রাফায়েল যুদ্ধবিমানের একটি প্রতিরূপ রাখা থাকবে এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়ার বাড়ির সামনে।
নয়াদিল্লি: রাফায়েল যুদ্ধবিমানের (Rafale fighter jet) একটি প্রতিরূপ রাখা থাকবে এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়ার বাড়ির সামনে। মধ্য দিল্লির আকবর রোডে অবস্থিত তাঁর বাড়ির কাছেই কংগ্রেসের সদর দফতর। ফ্রান্সের সঙ্গে এই বিমানের চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছে বারবার। এবারের নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গান্ধীর প্রধান অস্ত্র ছিল এটাই। প্রথম রাফায়েল যুদ্ধবিমানটিকে ভারতীয় বায়ুসেনার ‘গোল্ডেন অ্যারোজ' স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে এই স্কোয়াড্রনেরই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া। প্রথম রাফায়েল বিমানটি ভারতীয় বায়ুসেনার হস্তগত হবে সম্ভবত এবছরের সেপ্টেম্বরে।
তবে তারপরে ১৫০০ ঘণ্টার পরীক্ষা পর্ব পেরিয়ে আসতে হবে তাকে। ওই সময়ে তার উপরে ভারতের কাঙ্ক্ষিত বৈষিষ্ট্যগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে। ২০২০-র মে মাসে আম্বালায় পৌঁছে যাবার কথা প্রথম বারের চারটি বিমানের। রাফায়েল পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে নানা প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য একত্রিত করা হবে।
ফ্রান্সের সঙ্গে হওয়া ৩৬টি বিমানের চুক্তিকে কেন্দ্র করে মোদী ও তাঁর সরকারকে পুঁজিবাদের সঙ্গ দেওয়ার অভিযোগে বিদ্ধ করেছিল বিরোধী দলগুলি।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছিল, আগের চুক্তি বাতিল করে নরেন্দ্র মোদী একটি বেশি দামের চুক্তিতে সই করেন কেবল মাত্র অনিল আম্বানীর অনভিজ্ঞ বিমান সংস্থার ওই চুক্তিটি পাওয়া সহজতর করার জন্য।
সুপ্রিম কোর্ট ১৪ ডিসেম্বর রাফায়েল জেট সংক্রান্ত একটি রায়ে মোদী সরকারকে ‘ক্লিন চিট' দেয়। সর্বোচ্চ আদালত বলে, এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ নেই।