This Article is From Jan 10, 2020

JNU কাণ্ডে দীপিকার সমর্থনে এবার সরব প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন

রঘুরাম আরও জানিয়েছেন, “এই ব্যক্তিরা তাদের কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করেছেন যে সত্য, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার নিছক কথার কথা নয়, বরং তারা বিষয়টিকে আত্মত্যাগের মূল্যবান আদর্শ বলে মনে করেন বলেই আজ ভারতের পক্ষে লড়াই করে যাচ্ছেন।

JNU কাণ্ডে দীপিকার সমর্থনে এবার সরব প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন

JNUSU সভাপতি ঐশী ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন দীপিকা পাডুকোন

নয়াদিল্লি:

এবার দীপিকা পাড়ুকোনের (Deepika Padukone) সমর্থনে সরব হলেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (RBI Governor Raghuram Rajan)! রঘুরাম জানান, JNU-য়ে হিংসার বিরুদ্ধে অভিনেত্রীর নীরব প্রতিবাদ এবং নিজের পরিবারের হয়রানির পরেও নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার (Election Commissioner Ashok Lavasa) নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে কিছু মানুষের কাছে সত্য, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার কেবল কথার কথা নয়, একটা আদর্শ। লিংকডিনের একটি ব্লগে রঘুরাম রাজন বলেছেন যে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারী হামলাকারীদের আক্রমণ ঠেকাতে পুরোপুরি নির্বাক দর্শকের ভূমিকাই পালন করেছে পুলিশ।

জেএনইউয়ের আক্রমণে আহতদের সঙ্গে দেখা করা আর সংহতি প্রকাশের জন্য দীপিকার কপালে যেমন জুটেছে প্রশংসা, তেমনই জুটেছে ভর্ৎসনাও। অভিনেত্রীর নামোল্লেখ না করে রঘুরাম জানিয়েছেন, নিজের আসন্ন চলচ্চিত্র ‘ছপাক'কে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেও অভিনেত্রী আসলে আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন, কীভাবে সত্যিই প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে বাস করেও সোচ্চার হতে হয়।”

মোদি সরকারের সমালোচনাকারী আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, “বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী যুব সম্প্রদায় আমাদের জাতীয় পতাকা ধরে হেঁটেছে, হিন্দু না মুসলমান কিছু এসে যায়নি। তারা একে অপরের হাত ধরে রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তৈরি কৃত্রিম এই বিভাজনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমাদের সংবিধানের চেতনা এখনও উজ্জ্বল।”

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ক্লিন চিট দিতে অস্বীকার করা নির্বাচন কমিশনের একমাত্র সদস্য অশোক লাভাসার নাম উল্লেখ না করেই রঘুরাম বলেন, “নিজের পরিবার হয়রানির শিকার হওয়া সত্ত্বেও যখন কোনও নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করেন তখন প্রমাণ হয় এখনও সততা শেষ হয়ে যায়নি।”

বিজেপি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসার পরপরই অশোক লাভাসার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল।

রঘুরাম আরও জানিয়েছেন, “এই ব্যক্তিরা তাদের কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করেছেন যে সত্য, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার নিছক কথার কথা নয়, বরং তারা বিষয়টিকে আত্মত্যাগের মূল্যবান আদর্শ বলে মনে করেন বলেই আজ ভারতের পক্ষে লড়াই করে যাচ্ছেন। মহাত্মা গান্ধি যে কারণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, এই লড়াই সেই লড়াই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন... ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত।”

.