Raghuram Rajan...2016 সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ছিলেন রঘুরাম রাজন
নিউ দিল্লি: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন সংসদীয় কমিটির কাছে তাঁর জমা দেওয়া রিপোর্টে ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণ সমস্যা ও ঋণ জালিয়াতি নিয়ে বোমা ফাটালেন। যা নিয়ে তরজা শুরু হল কংগ্রেস ও বিজেপির। তরজায় সামিল হল বিরোধী দলগুলিও। মুরলি মনোহর যোশীর নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো ওই রিপোর্টটিতে রঘুরাম রাজন বলেন, অতি আশাবাদী ব্যাঙ্ককর্মী, সরকারের গাফিলতি এবং অত্যন্ত ধীর অগ্রগতিই এই বিপুল অনাদায়ী ঋণের মূল কারণ। তিনি আরও বলেন, ব্যাঙ্কিং সেক্টরে জালিয়াতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। যদিও তা এনপিএ বা নন পারফর্মিং অ্যাসেটেট জালিয়াতির তুলনায় এখনও খানিকটা কম বলে দাবি তাঁর।
তাঁর বিতর্কিত রিপোর্টটিতে রঘুরাম রাজন বলেন, “দ্রুত ঋণ জালিয়াতির ঘটনাগুলিকে সনাক্ত করে সমস্ত ব্যাঙ্কগুলি যাতে পূর্ণাঙ্গ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তদন্তকারী সংস্থাদের রিপোর্ট করতে পারে, তার দেখভালের জন্য আমার আমলে একটি ‘ফ্রড মনিটরিং’ বিভাগ শুরু করা হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। বেশ কয়েকটি বড় মাপের ঋণ জালিয়াতির তালিও পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেই তালিকা পাঠানোর পর কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একসঙ্গে তদন্ত করে অন্তত কয়েকজন দোষীর নাম যাতে সামনে আনতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করেছিলাম। কিন্তু, অত্যন্ত গুরুতর এই সমস্যাটিকে যেভাবে দেখা উচিত ছিল, সেইভাবে সম্ভবত সরকার দেখেনি। বিষয়টি নিয়ে কতদূর এগোনো হয়েছে এখনও পর্যন্ত, তা নিয়ে সত্যিই আমি অন্ধকারেই রয়েছি। অথচ, এই বিষয়টির একটি পরিণতি এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে”।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র কারণে জালিয়াতদের এখনও নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হয়নি। নিজেদের কাজ ঠিকই করে যাচ্ছে তারা।