This Article is From Jan 27, 2019

এনআরসি নিয়ে টুইটারে তরজায় জড়ালেন রাহুল গান্ধী ও হিমন্ত বিশ্বশর্মা

রাহুল গান্ধীর দাবি, বিজেপি নিজেদের নির্বাচনী সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতকে ‘বিভক্ত’ করে দেওয়ার খেলায় মেতেছে। যার ফলে শুরু হয়েছে তুমুল অশান্তি।

এনআরসি নিয়ে টুইটারে তরজায় জড়ালেন রাহুল গান্ধী ও হিমন্ত বিশ্বশর্মা
গুয়াহাটি:
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে টুইটারে তুমুল তরজা লাগল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিজেপির উপদেষ্টা হিমন্ত বিশ্বশর্মার মধ্যে। এই বিলটি নিয়ে গত বেশ কয়েকমাস ধরেই বিজেপির সঙ্গে তুমুল বিরোধিতা চলছে বিরোধী দলগুলির। কংগ্রেস এর আগেও এনআরসি নিয়ে মুখ খুলেছে বহুবার। এই তরজাকে তারই একটি অংশ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। রাহুল গান্ধীর দাবি, বিজেপি নিজেদের নির্বাচনী সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতকে ‘বিভক্ত' করে দেওয়ার খেলায় মেতেছে। যার ফলে শুরু হয়েছে তুমুল অশান্তি। “বিজেপি যেভাবে নির্বাচনে সুবিধা পাওয়ার কথা ভেবে জাত ও ধর্মের নামে উত্তর-পূর্ব ভারতকে ভাগ করার খেলায় নেমেছে, তা যথেষ্ট বিব্রতকর। ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধের এই রাজনীতি, প্রতিবেশির সঙ্গে প্রতিবেশির বচসার এই রাজনীতি আসলে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুরই জন্ম দেয় না। এটা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত”, শুক্রবার টুইট করে বলেছিলেন রাহুল।

তারপরই উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির উপদেষ্টা আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতাকে।

আরও পড়ুনঃ AIIMS-এর শিলান্যাস করতে আসছেন তিনি, তার আগেই তামিলনাড়ু গর্জে উঠল- 'গো ব্যাক মোদী'

“প্রিয় রাহুল গান্ধী, বিশ্বাস করুন, আপনার উদ্বেগ দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। আপনি কি জানেন, কীভাবে আপনার দল কংগ্রেস এই উত্ত্র-পূর্ব ভারতেই ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তির বাতাবরণ জিইয়ে রেখেছিল দশকের পর দশক ধরে? তাই, বিচার করা বন্ধ করুন। আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানানোর জন্য মানুষের কাছে যাচ্ছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। কয়েকজন ভুয়ো প্রতিবাদী ছাড়া আর কেউই তার বিরোধিতা করছে না। সবটাই ঠিকঠাক রয়েছে। আপনিও নিশ্চিন্তে থাকুন। উত্তর-পূর্ব ভারত ভালো আছে”, টুইট করে বাণ ছোড়েন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

সংশোধিত নাগরিক বিল ২০১৬-র ওপর ভিত্তি করে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির করার দিকে ক্রমে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই বিল প্রয়োগ করা গেলে অসমকে ‘কাশ্মীর' হয়ে ওঠার থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। যা আদতে অসমীয়াদের পক্ষে ‘আশীর্বাদ'-এর সামিল।

শুক্রবার একটি জনসভায় এসে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “আমি সাম্প্রদায়িক না অসাম্প্রদায়িক, তা জানার জন্য আমার কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিন্দুদেরই লড়িয়ে দিচ্ছে একশ্রেণির মানুষ। এর বিরোধিতা তো করতেই হবে”। 

 
 
.