This Article is From Mar 04, 2020

“ভারতের সুনামে প্রভাব পড়েছে’, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে বললেন রাহুল গান্ধি

উত্তরপূর্ব দিল্লির ব্রিজপুরিতে যেতে পারেন রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা

“ভারতের সুনামে প্রভাব পড়েছে’, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে বললেন রাহুল গান্ধি

একটি সাদা বাসে সফরে যান কংগ্রেস সাংসদরা

নয়াদিল্লি:

ভারতের সুনামে প্রভাব পড়েছে, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষে (Delhi  Violence) মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে বললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। এদিন দলের নেতাদের নিয়ে সংঘর্ষ কবলিত উত্তর পূর্ব দিল্লিতে যান কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। গত সপ্তাহে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়া এবং ৪৮ জনের মৃত্যু ও ২০০ জনের বেশি আহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে এই প্রথমবার উত্তর পূর্ব দিল্লি (North East Delhi) যায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। একটি সাদা বাসে সফরে যান কংগ্রেস সাংসদরা, উত্তর পূর্ব সংঘর্ষ কবলিত বিভিন্ন এলাকায় বাসটি দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিজপুরিতে যে স্কুলটিতে হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে গিয়ে রাহুল গান্ধি বলেন, “এই স্কুলটি ভারতের ভবিষ্যত। হিংসা ও ঘৃণা একে শেষ করে দিয়েছে। এই সংঘর্ষে ভারতমাতার কোনও লাভ হয়নি। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে”।

দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইটের পাল্টা রাহুল গান্ধির উত্তর, “ঘৃণা ত্যাগ করুন, সোশ্যাল মিডিয়া নয়”, সেদিন সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মঙ্গলবার গান্ধিমূর্তির পাদদেশে দলের বিক্ষোভেও হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধি।

সংসদে দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। যদিও সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে যে, একদিনের জন্য তারা তৈরি, হোলির পর একটি দিন ধার্য করবেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, সেদিনই হিংসা নিয়ে আলোচনা হবে, তবে এই সিদ্ধান্তে ক্ষুণ্ণ বিরোধীরা।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক দরকষাকষিতে সংসদে ব্যাপক হট্টগোল হয়, একাধিকবার মুলতুবি হয়েযায় সভার কাজ, ছোটোখাটো সংসদীয় কাজকর্ম শেষ দুদিনে করা হয়।

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এদিনের সফরই রাহুল গান্ধির বাইরের কোনও কর্মসূচী। লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের জন্য পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধি এবং জনসমক্ষে  আসা কমিয়ে দেন।

অন্যান্যবার পড়ুয়াদের দায়ী করে কর্তৃপক্ষ, তবে এবারে জামিয়া মিলিয়া বা জওহর নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পর সেখানে যাননি রাহুল গান্ধি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্দে আন্দোলনের ক্ষেত্রে দেশের বাইরে ছিলেন গান্ধি পরিবারের এই কংগ্রেস নেতা। তাঁকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় “রোমিং ডেটা প্যাক” রিচার্জ করতে বলেছেন।

সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধি সাফ জানিয়েছেন যে, আবারও দলের সভাপতির পদে যাবেন না তিনি।

.