This Article is From May 30, 2020

"করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাহুল গান্ধির জ্ঞান সীমিত", কটাক্ষ বিজেপি সভাপতির

সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মানসিকতা থেকে মন্তব্য করেছেন তিনি। যার সঙ্গে সঙ্কটমোচনের কোনও দিশা দেখানো নেই, দাবি জেপি নাড্ডার

করোনা সংক্রমণে ব্যার্থ কেন্দ্রীয় সরকার। রাহুল গান্ধির এই অভিযোগ নস্যাৎ করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।

হাইলাইটস

  • করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাহুল গান্ধির সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কটাক্ষ করল বিজেপি
  • "সংক্রমণ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদের জ্ঞান সীমিত", বলেন জেপি নাড্ডা
  • দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তিতে শনিবার ডাকা হয় সাংবাদিক বৈঠক
নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণ (Coronavirus India) নিয়ে রাহুল গান্ধির জ্ঞান সীমিত। শনিবার এ ভাষাতেই কংগ্রেস সাংসদকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি। নরেন্দ্র মোদি ২.০ সরকারের প্রথমবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন বিজপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে জেপি নাড্ডা (BJP President) অভিযোগ করেন, "সঙ্কটমোচনের মানসিকতা থেকে নয় বরং রাজনীতির ভাষা বলছেন রাহুল গান্ধি।" শনিবার নাড্ডা দাবি করেন, "নরেন্দ্র মোদি ২.০ সরকারের (Modi 2.0 government) প্রথম বর্ষ একাধিক সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য স্মরণীয় থাকবে। যে ভাবে সংক্রমণ আঁচ অনুধাবন করে দেশব্যাপী লকডাউন লাগু হয়েছে, সেটা প্রশংসনীয়। সেই সিদ্ধান্তের জেরে দেশে এখনও সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণে। অনেক উন্নত রাষ্ট্রই দেরিতে লকডাউন ঘোষণা করায় এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।" প্রথম একবছর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একাধিক অকল্পনীয় সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ঘোষণা করেছেন লকডাউন।এদিন এমন দাবিও করেন বিজেপি সভাপতি। 

"সাংঘাতিকভাবে ভুগতে হচ্ছে": জাতির উদ্দেশে চিঠিতে পরিযায়ীদের প্রসঙ্গে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

এদিন রাহুল গান্ধির সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেছেন, "এই ইস্যু গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করেননি রাহুল গান্ধি। করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাহুল গান্ধির জ্ঞান সীমিত। তাই বরাবর বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে গিয়েছেন। কখনও বলেছেন লকডাউন কেন লাগু হয়েছে, আবার কখনও প্রশ্ন তুলেছেন লকডাউন কেন বাড়ানো হবে না? " সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মানসিকতা থেকে মন্তব্য করেছেন তিনি। যার সঙ্গে সঙ্কটমোচনের কোনও দিশা দেখানো নেই, দাবি জেপি নাড্ডার। 

লকডাউনের পর ঘুরে দাঁড়াতে রাজ্যের চা শিল্পে জোর, ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু ১ জুন থেকেই

এদিকে, দেশে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই যেন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে কোভিড- ১৯। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় লাফ দিল ওই নাছোড় ভাইরাস, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ৭,৯৬৪ জন, আর একদিনের মধ্যে ওই রোগের জেরে মৃত্যু হল ২৬৫ জনের। সব মিলিয়ে ভারতে মোট আক্রান্ত বেড়ে ১.৭৩ লক্ষে পৌঁছলো, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪,৯৭১ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত ১,৭৩,৭৬৩ জন মানুষ। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন যখন ভারতে একদিনে কোভিড- ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০০০ এরও বেশি হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবারই করোনার সংক্রমণে সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেশেগুলোর তালিকায় ৯ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। 

তবে করোনার সংক্রমণের মধ্যেই আশার আলো এর সুস্থতার সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, ৮০,০০০ এরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই রোগ থেকে।

এদিকে শুক্রবার দেশের ৩ রাজ্য- মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানাতে একদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড- ১৯ আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, সেখানে গত একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২,০৯৮ জন মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছে ১১৬ জন। ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত ৬২,০০০ এরও বেশি। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.