দেশের জাতীয় নির্বাচনে টানা দু'বার দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার পরে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও দলের নেতৃত্বের মুখ হিসাবে সম্ভবত রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) আর দেখা যাবে না, এমন অনুমানই করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি দলের (Congress) মধ্যে তৈরি হওয়া নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে এবং একজন পূর্ণ সময়ের দলীয় সভাপতি নিয়োগের দাবি করে সনিয়া গান্ধিকে যে ২৩ জন প্রবীণ নেতা চিঠি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে থেকেই রাহুল গান্ধিকে নিয়ে এই ভবিষ্যৎবাণী করেছেন এক নেতা। ১৩৫ বছরের পুরনো এই রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গে ওই নেতা বলেন, "আমরা আর একথা বলার মতো জায়গায় নেই যে রাহুল গান্ধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন এবং ২০২৪ সালে আমাদের ৪০০ টি আসন পেতে সহায়তা করতে পারবেন। আমাদের এখন এটা বোঝার সময় হয়েছে যে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের দুটি লোকসভা নির্বাচনে, দল তাঁর নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় আসন পেতে সক্ষম হয়নি", চিঠির মূল স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে একজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতাই স্পষ্টভাবে একথা বলেন।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলের পর সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি। তারপর দলের দায়িত্ব সামলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত সনিয়া গান্ধি। এবার যখন একজন স্থায়ী সভাপতির দাবি উঠেছে দলের মধ্যে তখন অনেকেই আবার রাহুলকে দলের সর্বোচ্চ নেতার পদে দেখতে চাইছেন। যদিও কোনওভাবেই আর দলের সভাপতির দায়িত্ব নেবেন না তিনি, জানিয়ে দিয়েছেন রাহুল।
"নাগপুর থেকে সিমলা পর্যন্ত (দেশের উত্তরের অর্ধেক অংশে), দলের কাছে যে ১৬ টি আসন রয়েছে তার মধ্যে ৮টিই পঞ্জাবের। আমাদের বুঝতে হবে যে এই দেশের নাম ভারত এবং এদেশের চরিত্র আলাদা বাস্তবতা রয়েছে। যদি এসব নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠক হয় তবে আমি অবশ্যই আমার মতামত তুলে ধরবো" নেতা যে এর খসড়া তৈরি এবং স্বাক্ষর পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ছিলেন বলেছিলেন।
আগামীর লড়াই কোনও ব্যক্তিবিশেষের নয়, ইস্যু ভিত্তিতে রাজনৈতিক লড়াই করার উপর জোর দিয়েই লড়তে হবে, এনিয়ে সম্প্রতি সনিয়াকে চিঠি লেখেন ২৩ জন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সেই দলে থাকা এই নেতার মতে, যেকজন মিলে চিঠিটি লিখেছিলেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতি করছেন এবং দলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধু তাই নয়, তাঁরা সনিয়া গান্ধির প্রতিও সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেন। তাঁদের দাবি হলো, দল যদি এভাবে ভাবে তবেই রাজনীতির মঞ্চে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারবে তারা টিকে থাকতে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সাফল্য অর্জন করতে সফল হতে পারবে।