তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে প্রথম থেকেই আপত্তি করে আসছে প্রদেশ কংগ্রেস।
হাইলাইটস
- কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন সাংসদ অধীর চৌধুরি
- দিল্লিতে সোমবার দু’জনের মধ্যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে
- জোট প্রসঙ্গে বাংলার কংগ্রেস কর্মীদের মনোভাব তুলে ধরেছেন অধীর
লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন সাংসদ অধীর চৌধুরি। দিল্লিতে সোমবার দু'জনের মধ্যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারও জোট করা হলে ভাল- মন্দ কী হতে পারে সে বিষয়ে জানতে চান রাহুল। অধীর সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। বৈঠক সম্পর্কে কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেছেন অধীর রাহুলকে বলেছেন দলের কর্মীরা চাইছেন হয় এক লড়াই হোক বা বামেদের সঙ্গে জোট করা হোক। কিন্তু কোনও অবস্থাতাতেই যেন তৃণমূলের হাত ধরার প্রস্তাব দেওয়া না হয়।
ভারতে সন্ত্রাসী হামলার জন্য যারা দায়ী, এবার তাদের ঘরে ঢুকে মেরে আসব: প্রধানমন্ত্রী মোদী
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার আবার জোট করার জন্য আলোচনা চলছে কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে। জোট বা আসন সমঝোতা যাই হোক না কেন সেটা আটকে আছে কয়েকটি আসন কার দিকে যাবে তার ওপর। এই তালিকায় সবার উপরের দিকে নাম আছে রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদের। এই দুটি আসন এখন সিপিএমের দখল হলেও ঐতিহাসিক ভাবে কংগ্রেসের প্রভাব বেশি। তাই এই আসন চায় কংগ্রেস। অন্যদিকে জেতা আসন ছাড়তে নারাজ সিপিএম। এরই মধ্যে সোমবার সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে জোট হলে সব আসনেই হবে। কোনও আসনে জোট আর কোনও আসনে লড়াই- এটা হবে না।
লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে প্রথম থেকেই আপত্তি করে আসছে প্রদেশ কংগ্রেস। সভাপতি সোমেন মিত্র আগেই জানান তাঁদের দাবির সঙ্গে সম্মত হয়েছেন রাহুল। সোমেনের দাবি রাহুল বলেছেন হাইকামন্ড জোটের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না। প্রদেশ নেতৃত্ব নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নেবেন। দিল্লিতে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে প্রদেশ সভাপতি বলেছিলেন, রাহুল তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন। রাহুলজিকে আমরা বোঝাতে পেরেছি যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে কংগ্রেসের ক্ষতি হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জন্যই বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে। তাই সভাপতি আমাদের নতুন নীতি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই নতুন করে সিপিএমের হাত ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়।