সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের আইন আনা হয়েছে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে
হাইলাইটস
- জম্মু ও কাশ্মীরে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করবে জঙ্গিরা, বললেন রাহুল গান্ধি
- তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, জাতীয়তাবাদী নেতাদের সরাতে চাইছে কেন্দ্র
- “ভারতের বাকি অংশকে মেরুকরণ করতে” কাশ্মীরকে রাজনৈতিক যন্ত্র করবে কেন্দ্র
নয়াদিল্লি: ফারুক আবদু্ল্লাকে (Farooq Abdullah) আটক করা নিয়ে মঙ্গলবার ট্যুইট করলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi ), সেখানে তিনি লেখেন, ফারুক আবদু্ল্লার মতো জাতীয়তাবাদী নেতাদের অপসারণ করে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করতে চাইছে সরকার, যা পূরণ হবে জঙ্গিদের দ্বারা। জন নিরাপত্তা আইনে (Public Safety Act) জম্মু ও কাশ্মীরের প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লাকে আটক করা নিয়ে এই ট্যুইটটি করেন রাহুল গান্ধি। এই কংগ্রেস নেতা লেখেন, “এটা স্পষ্ট যে, ফারুক আবদুল্লাজীর মতো জাতীয়তাবাদী নেতাদের আটক করে রাজনৈতিক শূন্যস্থান তৈরি করতে চাইছে সরকার, যা পূরণ করবে জঙ্গিরা। তারপরেই বাকি ভারতে মেরুকরণের রাজনৈতিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে কাশ্মীর”।
ফারুক আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে আটক করার সমালোচনা করেন বহু বিরোধী নেতা, এই আইনের মাধ্যমে কোনও বিচার ছাড়াই কাউকে দুবছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যায়। সাধারণত ব্যবহার করা হয়, জঙ্গি, জম্মু ও কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটনায়।
সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের আইন আনা হয়েছে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্দে, ফলে সর্বনিম্ন তিনমাস আটক থাকতে হবে তাঁকে। তার জন্য শ্রীনগরে তাঁর বড়িটিকে “জেল” হিসেবে চিহ্নিত হবে।
কোনওরকম সরকারি নথি ছাড়াই, এখনও পর্যন্ত গৃহবন্দি রয়েছেন ৮৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ তথা জম্মু ও কাশ্মীরের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মাফিক অভিযোগ আনা হয়, তাঁর মুক্তির দাবিতে মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার আবহেই, ৫ অগস্ট থেকে মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাসহ শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার অথবা আটক করে রাখা হয়, নিরাপত্তার কড়াকড়িতে।
মূলধারার একজন রাজনীতিবিদ ফারুক আবদুল্লা এবং প্রথম সাংসদ, যাঁর বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগন করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপকে শাসক বিজেপির কাপুরুষোচিত চিন্তাভাবনা বলে মন্তব্য করেছেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গেই সর্বতোভাবে রয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। কেন জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে ? এটা বিজেপি সরকারের কাপুরুষোচিত চিন্তাভাবনা, সংবিধান বা ভারত, কারও প্রতিই সম্মানজ্ঞান নেই তাদের”।