নয়াদিল্লি: আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক রিপোর্ট উল্লেখ করে বুধবার কেন্দ্রকে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। এদিন টুইট করে রাহুল বলেন, "সংবাদমাধ্যমের সাহায্য মানুষের নজর ঘোরালে সত্যিটা বদলাবে না।" তাঁর দাবি, "আরবিআই সেটাই বলেছে, যেটা আমি মাসখানেক আগে বলেছিলাম।" পরামর্শের সুরে রাহুলের বক্তব্য, "সরকারকে বেশি খরচ করতে হবে, কম ঋণ নিতে হবে। গরিবদের হাতে টাকা তুলে দিতে হবে। উদ্যোগপতিদের কর ছাড়া সুবিধা দিলে চলবে না। সাশ্রয় করে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে হবে।" মঙ্গলবার আরবিআই পূর্বাভাস দিয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিচার করে আরও নিম্নমুখী হবে দেশের আর্থিক গতি। বর্ষার খামখেয়ালিপনা, করোনা সংক্রমণ, লকডাউন আর বিশ্ব বাজারে মন্দা অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে, কেন্দ্রের সামনে বিরোধী ঐক্য প্রকট করতে তৎপর হলেন সনিয়া গান্ধি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বুধবার ভিডিও বৈঠক ডেকেছেন এই দুই রাজনৈতিক মুখ। জিএসটি পরিষদ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় এবং নিট-জেইই প্রশ্নে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে এই বৈঠক। যদিও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের এই বৈঠকে যোগ নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এদিন দুপুরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেই নিট-জেইই পরীক্ষা নিতে তৎপর কেন্দ্র। এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পরীক্ষা পিছনোর আর্জি জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তিনি যোগ দেবেন কিনা, সে নিয়ে অনিশ্চয়তা তুঙ্গে।
এদিকে, ২৭ অগাস্ট জিএসটি পরিষদের বৈঠক। তার আগে নীতি নির্ধারণে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। বাংলা, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে সেই বৈঠকের আগে ক্ষতিপূরণ আদায়ে গঠনমূলক ভূমিকা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।