This Article is From Dec 24, 2019

রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধিকে উত্তরপ্রদেশে ঢুকতে দিল না পুলিশ

পুলিশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দেয়, মীরাটে বহু জন সমাগম নিষিদ্ধ হওয়ার কারণেই সেখানে যেতে পারবেন না তাঁরা। তাঁদের বলা হয়, এই সফর বাতিল করতে।   

উত্তরপ্রদেশে রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধিকে ঢুকতে দিল না পুলিশ।

নয়াদিল্লি:

রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি ভঢরাকে (Rahul Gandhi, Priyanka Vadra) উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)মীরাটে ঢুকতে দেওয়া হল না। গত সপ্তাহে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছি‌ল তাঁদের। মীরাটে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়ে মারা গিয়েছেন ছ'জন। জানা যাচ্ছে, পুলিশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দেয়, মীরাটে বহু জন সমাগম নিষিদ্ধ হওয়ার কারণেই সেখানে যেতে পারবেন না তাঁরা। তাঁদের বলা হয়, এই সফর বাতিল করতে। এসইউভি গাড়িতে রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি ভঢরা মীরাট যাত্রা করেন মঙ্গলবার সকালে। কিন্তু পুলিশ জানিয়ে দেয়, তাঁরা মীরাটে ঢুকতে পারবেন না। এরপর তাঁদের কনভয় ফিরে আসে দিল্লিতে।

লাল সোয়েটার ও জিনস পরিহিত রাহুল গান্ধি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পুলিশের কাছ থেকে জানতে চাই, তাদের কাছে কোনও অর্ডার আছে কিনা। তারা কোনও অর্ডার আমাদের দেখাতে পারেনি। কিন্তু তারা এটা জানিয়ে দেয়, আমাদের ফিরে যেতে হবে।''

‘‘ধন্যবাদ, কিন্তু...'': এনআরসি নিয়ে রাহুল গান্ধিকে টুইট প্রশান্ত কিশোরের

এরপর রাহুলরা প্রস্তাব দেন, তাঁরা তাঁদের সফর বাতিল করছেন। কেবল তিনজনের একটি দল সেখানে যেতে চায়। পুলিশ তাঁদের সেই অনুরোধ রাখেনি।

শনিবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বিজনৌর গিয়েছিলেন। সেখানে দু'জন ব্যক্তির মৃত্যু হয় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। সেখানে যেতে অবশ্য বাধা পাননি কংগ্রেস নেত্রী। ওই দুই মৃত্রে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

গত শুক্রবার মীরাটে প্রতিবাদীরা গাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে পাথর ছুঁড়ে মারে পুলিশের দিকে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে থাকে। হিংসার পর ওই অঞ্চলের ইন্টারনেট পরিষেবা করে দেওয়া হয়।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা এই আইন ও এনআরসির যৌথ প্রয়োগে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদের এই দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে হতে পারে। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক ও সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির বিরোধী।  

.