লাদাখ সংঘাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব কংগ্রেস। (ফাইল)
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর লেহ-লাদাখ সফরের দিনেই সমালোচনায় সরব রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। শুক্রবার তিনি চিনা অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, "কেউ একজন মিথ্যা বলছেন।" একটা ভিডিও এদিন টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লাদাখের (Ladakh) এক স্থানীয় অভিযোগ করছেন, "চিন তাঁদের জমি কেড়ে নিয়েছে (China Intrusion)।" এই প্রসঙ্গ টেনে রাহুলের কটাক্ষ, "লাদাখবাসী বলছেন চিন আমাদের ভূখণ্ড কেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন কেউ আমাদের জমি কাড়েনি। তাহলে কেউ তো একজন মিথ্যা বলছে!"
১৫ জুন ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লে-তে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, "উনি খুব ভোরেই ওই এলাকায় পৌঁছে যান। সেখানে তিনি পদাতিক সেনা, বায়ুসেনা এবং আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ) -এর কর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন। যে এলাকায় তিনি এখন আছেন সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,০০০ ফুট ওপরে, জ্যানস্কর রেঞ্জের ওই এলাকা খুবই দুর্গম"। লাদাখের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গী হয়েছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এমএম নারভানে। শুক্রবার সন্ধে নাগাদ ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
গত ১৫ জুন রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান। ফলে দেশ জুড়ে তীব্র চিনবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে। লাদাখে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার বিষয়ে গত সপ্তাহেই 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন ভারত চিনকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
লাদাখ সংঘর্ষের বিষয়ে খুব স্পষ্ট গলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "যারা লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে তাকানোর সাহস দেখিয়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে বন্ধুত্ব রাখতে হয়, সেটা যেমন ভারত জানে, তেমনই কী ভাবে কারও সঙ্গে যুঝতে হয় এবং জবাব দিতে হয়, সেটাও দেশের জানা রয়েছে। কারওকে ভারত মাতার সম্মান খর্ব করার অনুমতি যে দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের সাহসী জওয়ানরা।"
তবে সীমান্তে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে ক্ষতির মুখে পড়েছে লাল ফৌজের শিবিরও। চিন স্বীকার না করলেও ভারতীয় সেনা বিশ্বাস করে যে কমবেশী ৪৫ জন চিনা সেনা হতাহত হয়েছে ওই দিন।