এই হয়েছিল তো হয়েছিল মন্তব্যের জন্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে শ্যামকে।
হাইলাইটস
- শিখ বিরোধী হিংসা সম্পর্কে শ্যামের মূল্যায়ন একেবারে সম্পূর্ণ ভুলঃ রাহুল
- শ্যামের লজ্জিত হওয়া উচিত এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিতঃ রাহুল
- ’ পাঞ্জাবের একটি জনসভায় এ মন্তব্য করেন রাহুল
ফতেহগড় সাহিব: ৮৪-এর শিখ বিরোধী হিংসা (Anti Sikh Riot ) সম্পর্কে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শ্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda) যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ ভুল এবং তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘শিখ বিরোধী হিংসা সম্পর্কে শ্যামের মূল্যায়ন একেবারে সম্পূর্ণ ভুল এবং এ ধরনের কথা বলেছেন বলে তাঁর দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি ফোনে ওঁকে কথা জানিয়েছি। আমি বলেছি আপনি যে মন্তব্য করেছেন তা সমস্ত দিক থেকে ভুল। আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।' পাঞ্জাবের একটি জনসভায় এ মন্তব্য করেন রাহুল।
কয়েকদিন আগেই শিখ বিরোধী হিংসা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন কংগ্রেসের এই নেতা। বিষয়টা শুরু হয়েছিল বিজেপির একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে নিশানা করছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বর্তমানের এই আক্রমণকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। কয়েক দিন আগে বিজেপির তরফে দাবি করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে শিখ বিরোধী হিংসা হয়েছিল তাতে হত্যার নির্দেশ ছিল খোদ প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে। কংগ্রেসের তরফে বক্তব্য অস্বীকার করা হয়। বলা হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এরকম কোনও নির্দেশ দেননি। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন রাজীবের বন্ধু তথা বিদেশে কংগ্রেসের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্বে থাকা শ্যাম পিত্রোদা।
সংবাদ সংস্থা এনআইএ তিনি বলেন ‘শিখ বিরোধী হিংসা হয়েছিল তো হয়েছিল। গত ৫ বছর বিজেপি কোনও কথা বলেনি। কেন পাঁচ বছর চুপ করে বসে ছিল? এখন কেন কথা বলছে?' এই হয়েছিল তো হয়েছিল মন্তব্যের জন্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে শ্যামকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সকলেই নিশানা করেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাকে। মোদী বলেছেন এই বক্তব্য কে খুব সহজে হজম করার কোনও যুক্তি নেই। এ ধরনের কথা থেকেই মানসিকতার প্রতিফলন হয়। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন শ্যামের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয় শিখ বিরোধী হিংসায় যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের জন্য কংগ্রেস মোটেই ভাবিত নয়।