'অরাজকতা' দেখা সত্ত্বেও 'অন্ধ হয়ে থাকার জন্য" মোদিকে দোষ দেন রাহুল।
নিউ দিল্লি:
কংগ্রেস প্রধান অবশেষে আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ধর্না নিয়ে নীরবতা ভঙ্গ করলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দলকে আক্রমণের মূল লক্ষ্য করে কেজরিওয়াল ও তাঁর দলকেও তার মধ্যে টেনে আনেন।
এদের প্রত্যেককে ‘নৈরাজ্যবাদী’ বলে ভূষিত করেন রাহুল। এমনকি যে আমলারা গত রোববার প্রকাশ্যে তাঁদের অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিলেন, নিজের টুইটে তাঁদের কথাও উল্লেখ করেন রাহুল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের অফিসে সপ্তাহ-ব্যাপী প্রতিবাদ সংগঠিত করা নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। 2015 সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপের কাছে হেরে গিয়েছিল কংগ্রেস। সেই দলের নেতাদের মধ্যে দলের রাজ্য সভাপতি অজয় মাকেন থেকে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত পর্যন্ত সকলেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরূদ্ধে।
রাহুল গান্ধীর টুইটের জবাব দিতে অবশ্য বিন্দুমাত্র দেরি করেনি আপ। তাদের দলের বিধায়ক সঞ্জয় সিংহ সরাসরি আক্রমণ করেন কংগ্রেস প্রধানকে। তিনি বলেন কংগ্রেস প্রধান বিজেপির ভাষায় কথা বলছেন। এবং সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন পারলে তাঁর দলের নেতারা দিল্লিতে দু’দিনের জন্য অনশন করে দেখাক। আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন দলের রাজ্য সভাপতি অজয় মাকেনের কথায় কান দেওয়ার আগে রাহুল গান্ধীর কথা বলা উচিত ছিল পণ্ডিচেরীতে তাঁর দলের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর তুলনায় কংগ্রেসের অবস্থান বেশ খানিকটা আলাদাই।
বেশিরভাগ বিরোধী দলই এই বিতর্কে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশেই দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে বিজেপির জোটশরিক শিবসেনা এবং নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডও।
এমনকি এই বিতর্কে মমতা এবং তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম-এও চলে এসেছে এক সারিতে। গতকাল অন্যন্য রাজ্যের আরও তিন মুখ্যমন্ত্রী সহ মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই বিতর্কে হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেন। গতকাল আপের মিছিলে সিপিয়েমের বেশ কিছু ক্যাডারও অংশ নিয়েছিল।