This Article is From Aug 28, 2019

"কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়; সেখানে হিংসার উস্কানি দিচ্ছে পাকিস্তান": Rahul Gandhi

Rahul Gandhi Tweet করে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসা রয়েছে। হিংসা রয়েছে কারণ এটি পাকিস্তান দ্বারা প্ররোচিত ও সমর্থিত..."

Rahul Gandhi: শনিবার শ্রীনগর সফর করতে রাহুল গান্ধিকে বাধা দেওয়া হয়

নয়াদিল্লি:

রাহুল গান্ধি এক টুইট বার্তায় জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং জম্মু-কাশ্মীরে (J&K) হিংসা উস্কে দিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার রাহুল (Rahul Gandhi) টুইট করে জানিয়েছেন, অনেক বিষয়েই সরকারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন তিনি। তবে তিনি একেবারে পরিষ্কার জানাতে চান, এই হিংসার পিছনে লাগাতার উস্কানি দিয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। শনিবার শ্রীনগর সফর করতে রাহুল গান্ধিকে বাধা দেওয়া হয় এবং বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) পরিচালনার বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা। তারপরেই এই টুইটটি উল্লেখযোগ্য বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

ভারতের সঙ্গে আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধের কথা ভাবছেন ইমরান খান: পাক মন্ত্রী

কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এই মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন, “স্পট অন, চিফ! এটিই হল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মূল মতামত: জম্মু এবং কাশ্মীর ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ; আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদ্ধতিটির বিরোধিতা করেছি কারণ যেভাবে এটা হয়েছে তাতে আমরা আমাদের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর অত্যাচার চালিয়েছি। আমাদের অবস্থান থেকে পাকিস্তানের কোনও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার কারণ নেই।" প্রসঙ্গত, সরকারের প্রশংসা করার জন্য এর মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই বরিষ্ঠ নেতা। 

“জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়” শ্রীনগর থেকে ফেরানো নিয়ে বললেন রাহুল গান্ধি

শনিবার, রাহুল গান্ধি এবং বিরোধী নেতাদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর পরে তিনি বলেছিলেন, “পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে জম্মু কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।” বিরোধী প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে চাইছেন। বিশেষ মর্যাদা শেষ করার এবং এটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পরে যে কোনও ঝামেলা থেকে বিরত রাখতে ৪ আগস্ট থেকে এই রাজ্যে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা গত ২৫ দিন ধরে গ্রেপ্তার রয়েছেন। কাশ্মীরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে।

কংগ্রেসকে কাশ্মীরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সংসদে থাকাকালীন গোলাম নবি আজাদের মতো প্রবীণ নেতারা এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং মিলিন্দ দেওড়ার মতো বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা অবশ্য সিদ্ধান্তের সমর্থনেই কথা বলেছিলেন। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধি দৃঢ় ভাবেই কংগ্রেসের অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিয়ে জানান, যেভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত এবং কার্যকর করা হয়েছে দল তার বিরোধিতাই করবে।

.