Read in English
This Article is From Jul 25, 2018

ওই 'বিখ্যাত' আলিঙ্গনটির জন্য কয়েকমাস অপেক্ষা করেছিলেন রাহুল

48 বছর বয়সী কংগ্রেস সভাপতি সেই মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার  হতে পারে পাবলিক ডিসপ্লে অব অ্যাফেকশন (পিডিএ) বা অনুরাগের প্রকাশ্য প্রকাশ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

প্রায় তিন-চার মাস আগে থেকেই এই পোঁতা হয়ে গিয়েছিল এই আলিঙ্গনের বীজটি

নিউ দিল্লি :

সারা দেশে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি আলোচিত আলিঙ্গনটি, যা গত সপ্তাহে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের দিনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর প্রত্যক্ষ করে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্ত নাগরিক সমাজ, তা মোটেই কোনও চটজলদি সিদ্ধান্তের ফল নয়। বরং, ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে লুকিয়ে ছিল দীর্ঘদিন ধরে লালন করা একটি ছক।  প্রায় তিন-চার মাস আগে থেকেই এই পোঁতা হয়ে গিয়েছিল এই আলিঙ্গনের বীজটি। সূত্র জানিয়েছে এনডিটিভিকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বক্তৃতাই এই আলিঙ্গনের অন্যতম কারণ। যে বক্তৃতাতে রাহুল গান্ধী, তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী সহ গোটা গান্ধী পরিবার নিয়েই উপহাস করা হয়েছিল।

"আজ থেকে তিন-চার মাস আগের ঘটনা এটা। প্রধানমন্ত্রীর একটি ভাষণ শুনেছিলেন রাহুল গান্ধী। ওই ভাষণে সোনিয়া গান্ধী সহ গোটা গান্ধী পরিবার নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী", রাহুল গান্ধীর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এই কথা জানা গিয়েছে।

Advertisement

48 বছর বয়সী কংগ্রেস সভাপতি সেই মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার  হতে পারে পাবলিক ডিসপ্লে অব অ্যাফেকশন (পিডিএ) বা অনুরাগের প্রকাশ্য প্রকাশ।

যদিও, তাঁর ভাষণে বলা একটি অংশের অনুশীলন কংগ্রেস সভাপতি নিজের ব্যক্তিজীবনেও বারবার করে দেখিয়েছিলেন। গত বছরের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। তিনি ওখানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর যা 'শত্রুতা', সবই রাজনৈতিক। কোনও ব্যক্তিগত বৈরিতা তাঁদের মধ্যে নেই।

Advertisement

ওই সময়েই গুজরাটি খবরের চ্যানেল জিএসটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেও রাহুল দাবি করেছিলেন তাঁকে বা তাঁর পরিবারকে নিয়ে মোদী যত খারাপ কথাই বলে থাকুন না কেন, বিরোধীদের প্রতি তাঁর ভালোবাসাই রয়েছে। "আমার ভিতর কোনও ঘৃণা নেই (নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে)", ওই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন রাহুল।

যদিও, তাঁর এই বার্তা ভোটারদের মনে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।

Advertisement

গান্ধী পরিবারকে তুলোধুনো করে মোদীর ওই ভাষণের পর,  দীর্ঘদিনের এই পিডিএ-পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করার কথা ভাবা হয়েছিল। দুই দলের প্রধান পার্থক্যটাও বুঝিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল এর মাধ্যমে।

শোনা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী তাঁর সহকর্মীদের বলেছিলেন, এই আলিঙ্গন প্রধানমন্ত্রীকে চমকে দেবে। লোকসভায় ওই দিনে উপস্থিত কোনও কোনও সদস্যের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই মুহূর্তটির জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করছিলেন রাহুল গান্ধী।

Advertisement