This Article is From Jul 31, 2018

"এটি শুরু করেছিল মনমোহন সরকারই, কিন্তু...", এনআরসি নিয়ে মন্তব্য রাহুলের

অসমে গতকাল জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসিতে চল্লিশ লক্ষের বেশি মানুষের নাম নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়া নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত

মনমোহনের আমলেই এনআরসি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল, বললেন রাহুল।

হাইলাইটস

  • অসমের এনআরসি তালিকা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ রাহুলের
  • এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে যেভাবে সিদ্ধান্ত হল, তা নিয়ে আপত্তি রাহুলের
  • অসম চুক্তির কথা মাথায় রেখেই ইউপিএ সরকারই এনআরসি শুরু করে, বলেন রাহুল
নিউ দিল্লি:

অসমে গতকাল জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসিতে চল্লিশ লক্ষের বেশি মানুষের নাম নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়া নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত। মুখ খুললেন রাহুল গান্ধীও। গতকাল নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেন, “অসমের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতা চরম নেতিবাচকতারই নিদর্শন তুলে ধরল”।

ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেনস (এনআরসি) বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জির তালিকা 1951 সালের পর প্রথম তৈরি হল অসমে। কারা চিরকালই এই দেশের নাগরিক এবং কারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, সেটি বিচারের জন্যই এই তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফেসবুকের পোস্টে কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, “1985 সালের অসম চুক্তিতে কার্যকর করার জন্য জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির সিদ্ধান্ত মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলেই গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই আইনটিকে যেভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করল বিজেপি সরকার তা অসমকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিল”।

যদিও, সরকার থেকে জানানো হয়েছে, এই খসড়াটি চূড়ান্ত তালিকা নয়। যাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে, তাঁরা এখনও তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আবেদন করতে পারেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন অসম সরকার এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত কাগজপত্র ফের ভালোভাবে যাচাই না করে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। কাউকে এই ভূখণ্ড ছেড়ে কোথাও যেতেও হবে না।

যে সব ব্যক্তি তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ কাগজপত্র দিতে পারেননি, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই 1971 সালে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে চলে আসা পরিবারের সদস্য।

এনআরসি’র ব্যাপারে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে প্রায় সমস্ত বিরোধী দল। পিছিয়ে নেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি গতকাল এনআরসি তালিকা প্রকাশের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে উষ্মাপ্রকাশ করে বলেন, এই তালিকার মাধ্যমে ভাগাভাগির খেলা খেলছে বিজেপি। যা আমরা হতে দেব না।  

.