লখনউয়ের চারবাঘ স্টেশনে কলা কেনা বেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রেলমন্ত্রক
লখনউ: রেল স্টেশনকে পরিচ্ছন্ন করে তুলতে নানা পদক্ষেপ করেছে রেলমন্ত্রক (Indian Railway)। কিন্তু, তাতেও সম্পূর্ণ কাজ হচ্ছে না। স্টেশনের ইতি উতি থেকে ট্রেনের ভেতর, পড়ে থাকে নোংরা। বহু পর্যবেক্ষণের পর রেলের কাঠগড়ায় কলা। তাই স্টেশন পরিচ্ছন্ন করতে কলায় কোপ। লখনউয়ের (Lucknow) চারবাঘ (Charbagh) স্টেশনে কলা কেনাবেচার উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে ফল বিক্রেতা থেকে সাধারণ যাত্রীরা। তাদের প্রশ্ন, তাহলে তো প্লাসটিকের বোতল থেকে অন্যান্য প্যাকেটজাত খাবরও বন্ধ রাখতে হয়। রেলের অবশ্য জবাব, কলার খোসা থেকে স্টেশন নোঙরা হয় সব থেকে বেশি। তাই এই পদক্ষেপ।
স্টেশনের ভেতরের বিক্রেতাদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞার অমান্য হলে পড়তে হবে কড়া জরিমানার মুখে। ঠেকায় পরে লখনউয়ের চারবাঘ স্টেশনের ফল বিক্রেতারা বহুল বিক্রিত এই ফলটির বিকিকিনিই বন্ধ করেছেন। এমন সিদ্ধান্তের জন্য দুষছেন রেল আধিকারিকদের।
উত্তরপ্রদেশের চারবাঘ স্টেশনের এক ফল বিক্রেতার কথায়, ‘স্টেশন কর্তৃপক্ষের নিষেধ মেনে গত পাঁচ ছয় দিন ধরে আমি কলা বিক্রি করছি না। অন্যন্য ফলের দাম বেশি বলে আগে গরিব ও মধ্য আয়ের লোকেরা কলা খেত। এখন আমাদের মতোই তাদেরও ঝামেলায় পড়তে হয়েছে।'
‘স্বাস্থ্যকর, দাম কম। তাই ফলের মধ্যে কলার কেনা বেচা খুব বেশি। এছাড়া কোথাও যাওয়ার সময়ও কলা সহজে নিযে যাওয়া যায়। তাই পরিছন্নতার দোহাই দিয়ে কলা বন্ধ করে দেওয়া খুব বাজে সিদ্ধান্ত। যে কারণ দেখিয়ে কলায় নিষেধাজ্ঞা জারি হল, একই আজুহাতে তো এরপর বাথরুমও বন্ধ করে দেবে। জলের বোতল বা প্যাকেটজাত খাবারও তো বন্ধ হোওয়া প্রয়োজন।' মনে করেন লখনউ থেকে কানপুর যাতায়াতকারী এক যাত্রী। তাঁর মতে, কলার খোসা জৈব বলে পরিবেশ দূষণ করে না, একই সঙ্গে সস্তার স্বাস্থ্যকর খাদ্য। তাই রেলের এই পদক্ষেপ প্রত্যাহার করা উচিত।
তাদের সিদ্ধান্তে সরব ফল বিক্রেতা থেকে সাধারণ ট্রেন যাত্রী। তবে, প্রকাশ্যে মুখে কুলুপ রেল কর্তৃপক্ষের।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)