নতুন রেলওয়ে জোনের হেড কোয়ার্টার হবে বিশাখাপত্তনমে
হাইলাইটস
- রেলমন্ত্রী পীয়ুষ গয়াল অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন রেললাইন চালুর কথা ঘোষণা করলেন
- নতুন জোনের হেড কোয়ার্টার হবে বিশাখাপত্তনমে
- এটি হবে দেশের ১৮তম জোন
নিউ দিল্লি: বুধবার রেলমন্ত্রী পীয়ুষ গয়াল অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একটি নতুন রেললাইন চালুর কথা ঘোষণা করলেন। দিন কয়েক আগেই বিজেপি আইনজীবিদের একটি দল এ বিষয়ে দাবি জানিয়ে তার কাছে গিয়েছিল।
নতুন রেলওয়ে জোনের হেড কোয়ার্টার হবে বিশাখাপত্তনমে। এটি হবে দেশের ১৮তম জোন।
এ ভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আমার বা মোদী কারও হাতেই থাকবে নাঃ ইমরান
মন্ত্রী বলেন, ‘‘অন্ধ্রপ্রদেশ রিঅর্গানাইজেশন অ্যাক্ট ২০১৪-এর শিডিউল ১৩-এর ৮ নম্বর আইটেম অনুসারে ভারতীয় রেলওয়ের নতুন জোন তৈরির প্রয়োজন ছিল এই এলাকায়।''
‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরে এবং সব স্তরে আলোচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।''— সংবাদ মাধ্যমকে বলেন তিনি।
অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই রেলপথের। বিজেপি-র দলটি রেলমন্ত্রীকে জানানো আবেদনে লিখেছিল, উত্তর অন্ধ্র অঞ্চল, অর্থাৎ শ্রীকাকুলাম, ভিজিয়ানাগরম ও বিশাখাপত্তনম জেলা খুবই অনুন্নত। এখানে উন্নয়ন প্রযোজন।
দক্ষিণ রেলওয়ের এই নতুন রেললাইন এলাকার মধ্যে পড়বে গুন্ডাকল, গুন্টুর ও বিজয়ওয়াড়া ডিভিশন।
বাণিজ্যিক বিমানের চলাচল বন্ধ করে দিল পাকিস্তান
সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ে গঠিত হয়েছে হায়দ্রাবাদ, সেকেন্দ্রাবাদ ও নান্দেদ ডিভিশন নিয়ে, বলে জানিয়েছেন গোয়েল।
ওয়াল্টার ডিভিশন যা আদতে পূর্ব উপকূল রেলওয়ে জোন সেটিই অন্ধ্রের উত্তরের অংশ, ছত্তিশগঢ় ও ওড়িষাকে নিজেও আওতাধীনে রাখতো। তার হেড কোয়ার্টার ছিল বিশাখাপত্তনমে। এ বার সেটাকেই দু'ভাগে ভাঙা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
একটি ভাগের মধ্যে এই নতুন জোনকে রাখা হবে, সেই ভাগটি পার্শ্ববর্তী বিজয়ওয়াড়া ডিভিশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। বাকি অংশটুকুর হেড কোয়ার্টার হবে রায়গড়ে। তা থাকবে পূর্ব উপকূল রেলওয়ের অধীনে।
বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়ের কার্যকলাপ ১৭টি জোনে বিভক্ত। তাদের আবার সাব-ডিভিশন রয়েছে। প্রত্যেকটির জন্য আলাদা হেড কোয়ার্টার থাকে। মোট ৭৩টি ডিভিশন রয়েছে। ২০০২-২০০৩ সালে লাতটি নতুন জোন ও ৮টি নতুন ডিভিশন চালু হয়। ২০০৭ সালে সংযুক্ত হয় সালেম ডিভিশন।
২০০৯-২০১৩ মধ্যে নতুন জোনের ৯২ টি আবেদন ও ডিভিশনের ৪৫টি আবেদন গৃহিত হয়। ২০১২ সালে গঠিত এক কমিটি সেই আবেদন খতিয়ে দেখে। কমিটি রিপোর্টে বলেছিল কোনও আবেদনই ‘জাস্টিফায়েড' নয়।
রেলওয়ের হিসাবে নতুন জোন তৈরিতে খরচ হবে ২০৫ কোটি। এর বাইরে থাকে পোস্ট তৈরি ও উন্নতি, ট্রান্সফার, কর্মীদের পোস্টিং ও অন্যান্য খরচ।