This Article is From Dec 13, 2019

Protest Over Citizenship Act: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে অঞ্চলে আগুন লাগাল বিক্ষোভকারীরা

জেলার বহু সংখ্যালঘু সংগঠন গণ বিক্ষোভের ডাক দেয় বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Protest Over Citizenship Act: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে অঞ্চলে আগুন লাগাল বিক্ষোভকারীরা

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দিল

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ এসে পৌঁছল রাজ্যেও। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের (Citizenship Act)  প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দিল। সেখানে উপস্থিত রেলপুলিশ বাহিনীর কর্মীদেরও প্রচণ্ড মারধর কর ক্ষিপ্ত হাজার হাজার জনতা। জেলার বহু সংখ্যালঘু সংগঠন গণ বিক্ষোভের ডাক দেয় বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

এক বর্ষীয়ান আরপিএফ কর্মী বলেন, ‘‘প্রতিবাদকারীরা আচমকাই রেলওয়ে স্টেশম চত্বরে ঢুকে পড়ে এবং প্ল্যাটফর্ম ও রেলের অফিস সহ দু'তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আরপিএফ কর্মীরা তাদের থামাতে গেলে তাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়।''

নাগরিকত্ব আইন আটকানোর ক্ষমতা নেই রাজ্যের, জানাল সরকারি সূত্র

তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই লাইনে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার উলুবেড়িয়া স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা রেললাইন অবরোধ করে। ভাঙচুর করে স্টেশন চত্বর ও বেশ কয়েকটি ট্রে‌নে। একজন রেল চালক আহত হয়েছেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এদিন দুপুর ৩.২২ মিনিট থেকে অবরোধ শুরু হয়। 

আপ ও ডাউন দুই দিকের ট্রেন চলাচলই বন্ধ হয়ে যায় বলে পূর্ব রেলের মুখপাত্র সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন। ১২৮৪১ হাওড়া-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক আহত হন বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরে। ভাঙচুর করা হয় প্ল্যাটফর্মেও। ‘হামসফর এক্সপ্রেস'-এর খালি রেকেও ভাঙচুর করা হয়। তবে কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন সঞ্জয় ঘোষ।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোমবার কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার বহু ট্রেনও বাতিল হয়েছে অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে। হাওড়া-দিঘা কাণ্ডারি এক্সপ্রেসও দাঁড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে হাজার হাজার মানুষ পথ অবরোধ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে বলা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত সংখ্যা‌লঘু অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে পারবেন। বিরোধীপক্ষের দাবি, এই বিল অসাংবিধানিক এবং এটি সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারকে লঙ্ঘন করছে।

রাজ্যের মুথ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতা করেছেন। বুধবার সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই বিলটি নিয়ে ভয় পাবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি এবং যতক্ষণ আমরা এখানে আছি ততক্ষণ কেউ আপনাদের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারবেন না।"

তিনি আরও বলেন, "নাগরিকত্ব আইন ভারতকে বিভক্ত করার চেষ্টা। আমরা যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকব, ততদিন রাজ্যের একজন ব্যক্তিকেও এই দেশ ছাড়তে হবে না।''

পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তর-পূর্ব বিশেষত অসমে প্রবল বিক্ষোভ দেখা যায় এই বিলের বিরোধিতা করে। পুলিশের গুলিতে মারা যান দু'জন। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.