Coronavirus: মার্চ মাস থেকে দেশে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার
হাইলাইটস
- মে-জুনে যে বিশেষ ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করেছিল শুধু সেগুলোই চলবে, জানাল রেল
- করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণেই ১২ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ ট্রেন চলাচল
- কবে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছেন না কেউই
নয়া দিল্লি: ১২ অগাস্ট পর্যন্ত সমস্ত রকম যাত্রীবাহী ট্রেন (Trains) চলাচল বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। রেল মন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়, ১২ অগাস্ট পর্যন্ত দেশে সমস্তরকম প্যাসেঞ্জার, মেল, এক্সপ্রেস ও শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। দেখা গেছে যে, লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পরেই দেশে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) আরও দ্রুতগতিতে বাড়ছে। রেলের তরফ থেকে একথাও জানানো হয়েছে যে, ১ জুলাই থেকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত যেসমস্ত ট্রেনের টিকিট ইতিমধ্যেই বুক হয়ে গিয়েছিল, সেই টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই সময় মে ও জুনে ঘোষিত ২৩০ টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে বলেই জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। মার্চ মাস থেকেই দেশে করোনা ভাইরাস জাঁকিয়ে বসে। আর ওইসময় থেকেই সারা দেশে ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।
একদিনের মধ্যে ১৬,০০০ এরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত, মোট ৪.৭৩ লক্ষ
জুনের শুরুতেই, রেল ঘোষণা করে যে, বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টি করে দেওয়া হল। ১২ মে থেকে রাজধানী রুটে ১৫ জোড়া ট্রেন চলছিল, সেই পরিষেবা বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ১০০ জোড়া করে দেওয়া হয়।
কোভিড- ১৯ সঙ্কটে স্বল্পমেয়াদি স্বাস্থ্য বিমা করালে পাবেন এই সব সুবিধা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে যে হারে বাড়ছে তাতে ট্রেনের স্বাভাবিক পরিষেবা আবার কবে চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন খোদ রেলকর্তারাই। লকডাউনের আগে, প্রতিদিন প্রায় ১২,০০০ ট্রেন চালাতো রেল এবং তাতে যাতায়াত করতেন দৈনিক প্রায় ২ কোটি মানুষ।
ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যাতায়াতের জন্যে শহরতলিতে সীমিত সংখ্যক বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু হয়া। এই পরিস্থিতিতে যদিও সেই বিশেষ ট্রেন পরিষেবাও অব্যাহত থাকবে।
যে বিশেষ ট্রেনগুলো এই অবস্থাতেও চলাচল করছে তাতে সফর করতে হলে যাত্রীদের কড়া নির্দেশিকা মানতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নিয়ম অনুসারে, সমস্ত যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার আগে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে এবং কেবল যেসব যাত্রীদের শরীরে করোনা সংক্রান্ত কোনওরকম লক্ষণ নেই তাঁরাই ট্রেনে উঠতে পারবেন।
ট্রেনে ওঠার পর সমস্ত যাত্রীকে নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং গোটা সফরে মাস্ক পরা আবশ্যিক। পাশাপাশি সমস্ত যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারতে ক্রমেই যেন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে কোভিড- ১৯। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১৬,০০০ এরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, ফলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৪.৭৩ লক্ষ মানুষে। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৪,৮৯৪ জনের।
এই রোগ মহামারী আকারে যে যে দেশে দেখা দিয়েছে সেই তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার পরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে জায়গা পেয়েছে ভারত।