ঋণ নেওয়া হবে রেলওয়েজ ফিন্যান্স কমিশন থেকে
নিউ দিল্লি: অর্থ মন্ত্রকের থেকে টাকা না পেয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে ঋণ নেওয়ার পথে হাঁটছে ভারতীয় রেল। দেশের সমস্ত স্টেশনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে আরও 2,500 কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্ত সূত্রের খবর সেই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। যদিও নির্ভয়া প্রকল্পের অধীনে এই প্রকল্পে 500 কোটি টাকা দিয়েছে অরুণ জেটলির মন্ত্রক। আর তাই নিজের ফিন্যান্স কমিশনের মাধ্যমে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে রেল মন্ত্রক। ঋণ ছাড়া অন্য কোনও ভাবে টাকার বন্দোবস্ত করা যায় কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।
দেশের সমস্ত স্টেশনে সিসিটিভি বসাতে দরকার 3,000 কোটি। এর মধ্যে 500 কোটির হাতে এসে গিয়েছে। এ যাবৎ 436 টি স্টেশনে বসেছে ক্লোজ স্ট্রিট টিভি ক্যামেরা। কিন্ত এখনও বাকি রয়েছে 547 টি স্টেশন। 2018-19 অর্থবর্ষের জন্য পেশ হয় রেল বাজেটে 58,276টি কোচ এবং 5,121 স্টেশনে সিসিটিভি বসানোর কথা ঘোষণা হয়েছে। কিন্ত কাজ কিছুটা হওয়ার পর আর নতুন করে টাকা অনুমোদন দিচ্ছে না অর্থমন্ত্রক। রেল মন্ত্রক বলছে বাজারের বদলে ফিন্যান্স কমিশন থেকে ঋণ নেওয়া অনেক সুবিধাজনক। তাই সে পথেই হাঁটছে রেল।
টাকার অনুমদনে ঘটতি হওয়ায় পরিকল্পনাতাই কিছুটা রদবদল ঘটানো হয়েছে। আপাতত ঠিক হয়েছে 42,000কোচ এবং 5000 স্টেশনকে এই উন্নত মানের নিরাপত্তার আওতায় নিয়তে আসা হবে।
প্রাথমিক স্তরে রেলের এসি কোচে বসবে সিসিটিভি। প্রবেশ পথ ধরে পুরো কামরার বিভিন্ন জায়গায় মিলিয়ে মোট আটটি করে ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। দুটি কামরার সংযোগস্থলেও ক্যামেরা থাকবে। কাজ শুরুর জন্য 4,038টি ট্রেনের 10,349 কোচ বেঁচে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী থেকে শুরু করে শতাব্দীর মতো প্ৰথম শ্রেণির ট্রেনও রয়েছে। ধীরে ধীরে মেল্ ট্রেন থেকে সুরে করে এক্সপ্রেস ট্রেন এমনকি লোকাল ট্রেনেও সিসিটিভি বসিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)