আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী গত পাঁচদিন ধরে অতিবৃষ্টিতে ভাসছে গোটা উত্তরবঙ্গে।
কলকাতা: বৃষ্টির অভাবে গরমে হাঁসফাঁস দশা দক্ষিণবঙ্গের। এর একদম বিপরীত চিত্র উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলিতে। লাগাতার ভারী বর্ষণে (Rain continues) ইতিমধ্যেই ভেসে গেছে দার্জিলিং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তরদিনাজপুর। অতিবৃষ্টির (wreak havoc) জেরে রাস্তা ডুবেছে জলের নীচে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে স্থানীয় নদীগুলির জল। এরই মধ্যে জলে ডোবা রাস্তার গাটারে পড়ে শনিবার মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। রবিবার স্থানীয় প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বিমল সিল নামের বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি জলে ঢাকা গর্তে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী গত পাঁচদিন ধরে অতিবৃষ্টিতে ভাসছে গোটা উত্তরবঙ্গে। আগামী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদহ, উত্তরদিনাজপুর, দক্ষিণদিনাজপুরে। বৃষ্টিতে জল বেড়ে যাওয়ায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, সঙ্কোশ, কালজানি, করোলা নদী। অতিবৃষ্টিতে ধস নামায় যানচলাচল বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি ইতিমধ্যেই ধস সারানোর কাজে নেমে পড়েছে।
ভার নিতে পারছে না সেতু, বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় বন্ধ হৃষিকেশের লক্ষ্মণ ঝুলা
তবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলির বহু মানুষ ঘর হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় স্কুলে। ময়নাগুড়ির দুশো পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। সময়মতো ত্রাণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রবিবার পাঁচ ঘণ্টা ধরে বন্ধ করে দেন ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল।
হাত আটকে মৃত্যুর ঘটনায় মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে এফআইআর
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ির সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০৪ মিমি। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার মধ্যে, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫০ মিমি, কোচবিহারে ১১০ মিমি, শিলিগুড়িতে ১০৫ মিমি, কালিম্পং-এ ৬০ মিমি এবং দার্জিলিং-এ ৩০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)