এখনও কোনও রোগের প্রাদুর্ভাবের কথা জানা যায়নি।
হাইলাইটস
- আগামী চারদিন কেরালায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই।
- ত্রাণ শিবিরে মহামারী আটকানোর জন্য সতর্কতা জারি।
- কোচি থেকে আজ কয়েকটি যাত্রীবাহী বিমান যাতায়াত করবে।
তিরুঅনন্তপুরম: অবশেষে বৃষ্টি কিছুটা কমল কেরালায়। প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে এত ভয়াবহ বন্যা দেখেনি এই রাজ্য। গত 8 অগস্ট থেকে হওয়া বন্যায় এই রাজ্যে সরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রাণ হারিয়েছেন 300-র বেশি মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ 20 হাজার কোটি টাকার বেশি। হাজার হাজার মানুষ এখনও আটকা পড়ে রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা উদ্ধারকার্য সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। রাজ্য এবং কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গোটা দেশের মানুষ। ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন ছ’লক্ষের বেশি মানুষ। ওই শিবিরগুলোতে যাতে রোগ ছড়িয়ে না পড়তে পারে, সেটাই এখন প্রশাসনের মূল চিন্তা।
এই বিষয়ে রইল 10’টি জ্ঞাতব্য তথ্য :
- গত দু’দিন ধরে কেরালায় বৃষ্টির তীব্রতা বেশ খানিকটা কমেছে বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী চারদিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আর নেই।
- ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, “গত তিনদিন ধরেই কেরালায় বৃষ্টিপাতের তীব্রতা অনেক কমে এসেছে।
- এখনও পর্যন্ত কেরালায় কোনও রোগের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া না গেলেও, স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পেশ করা একটি বিবৃতিতে রবিবার জানানো হয়েছে যে মোট 3700’টি চিকিৎসা শিবির তৈরি করা হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
- “কোনও রোগের খবর এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে এসে না পৌঁছলেও, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বন্যার জল কমতে আরম্ভ করলেই মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। রাজ্যকে এই নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, কোনওরকম রোগের প্রাদুর্ভাবের সামান্য সংকেত পেলেও তারা যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে”, বলা হয় ওই বিবৃতিটিতে।
- রাজ্যের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরম থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরের আলুভার একটি ত্রাণ শিবিরে তিনজন মানুষের চিকেন পক্স হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরালার স্বাস্থ্য বিভাগের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান অনিল বাসুদেবন।
- অগস্ট মাসের আট তারিখ থেকে পনেরো তারিখ পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের থেকে 250 শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থেকেছে গোটা কেরালা।
- পোম্বা নদীর তীরের চেঙ্গান্নুরের উদ্ধারকার্য চলছে জোরকদমে। সেখানে এখনও আটকা পড়ে আছেন পাঁচ হাজারের ওপর মানুষ।
- এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে কোচির নাভাল বিমানবন্দর থেকে সোমবার বেঙ্গালুরু আর কোয়েম্বাতুরের উদ্দেশে বিমান উড়বে।
- মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন শনিবার বলেন, স্থানীয় উৎসবের জন্য আগে থেকে অনেকটা পরিমাণে মজুত থাকায় খাদ্যের কোনও সংকট নেই। একমাত্র সমস্যা, সেই খাদ্যগুলিকে ঠিকঠাকভাবে নিয়ে যাওয়ায়। কারণ, রাজ্যের হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা হয় জলের তলায় চলে গিয়েছে, অথবা ভেঙে পড়েছে।
- রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমিটিকে রবিবার জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। .
.